এনডিএ-তে আসন সমঝোতার ফর্মুলা তৈরি করল BJP, বিরাট চমক

শিয়রে ২৪-এর লোকসভা ভোট। ফের কি ক্ষমতায় থাকবে মোদী সরকার নাকি পালাবদল ঘটবে? তা তো সময়ই বলবে। এদিকে এই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে…

Bjp

শিয়রে ২৪-এর লোকসভা ভোট। ফের কি ক্ষমতায় থাকবে মোদী সরকার নাকি পালাবদল ঘটবে? তা তো সময়ই বলবে। এদিকে এই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে রণকৌশল তৈরিতে ব্যস্ত বিজেপি (BJP)। একই সঙ্গে প্রার্থী বাছাইয়ের ওপর চূড়ান্ত সিলমোহর লাগানো হচ্ছে।

এদিকে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকে ১৬টি রাজ্যের বহু প্রার্থীর নাম অনুমোদন করে এনডিএ-তে আসন ভাগাভাগির ফর্মুলা বেঁধে দিয়েছে দল। শোনা যাচ্ছে, আজ শুক্রবারই প্রকাশ হতে পারে বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকা। সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশে এনডিএ-তে জোটসঙ্গীদের জন্য ৬টি আসন ছাড়বে বিজেপি। জানা যাচ্ছে, আপনা দল ও আরএলডি-র জন্য ২-২টি আসন বেঁধে দিয়েছে বিজেপি। নিষাদ পার্টি ও ওমপ্রকাশ রাজভরের দলের জন্য একটি করে আসন নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে আরএলডির জন্য কোন আসন ছাড়বে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এ ছাড়া অসমে তিনটি আসন শরিকদের জন্য ছেড়ে দেবে বিজেপি। অগপের জন্য ২টি এবং ইউপিপিএলের জন্য একটি আসন বাকি রয়েছে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, ‘রাজ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে এনডিএ-র মধ্যে একটি সমঝোতা হয়েছে। বিজেপি ১১টি আসনে, তাদের জোটসঙ্গী অসম গণ পরিষদ (এজিপি) দুটি এবং ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারেল (ইউপিপিএল) একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। সূত্রের খবর, অসমের প্রায় ৪০ শতাংশ সাংসদের টিকিট কাটা হতে চলেছে। সর্বানন্দ সোনোয়াল ডিব্রুগড় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।’

বলা হচ্ছে যে, বিজেপি হরিয়ানার ১০টি আসনে একা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে, অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডে দলটি তার জোটসঙ্গী এজেএসইউকে একটি আসন ছেড়ে দেবে। তবে জেডিইউ, চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপি (রামবিলাস), পশুপতি পারসের এলজেপি (ন্যাশনাল), উপেন্দ্র কুশওয়াহা এবং জিতন রাম মাঝির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা (শিন্ডে গোষ্ঠী) এবং এনসিপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে এখনও চূড়ান্ত আলোচনা হয়নি।

তেলেঙ্গানার তিন বর্তমান সাংসদ এবার ফের টিকিট পেতে পারেন। জি কিষাণ রেড্ডি, বন্দি সঞ্জয় কুমার, অরবিন্দ ধর্মপুরীকে ফের ভোটের ময়দানে নামানো হতে পারে। প্রথম তালিকায় তেলেঙ্গানার ৪-৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হতে পারে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক শুরু হয় রাত ১১টা নাগাদ, যা চলে ভোর ৩টে ২০ মিনিট পর্যন্ত। প্রার্থীদের নাম বাছাইয়ের জন্য প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা চিন্তাভাবনা করা হয়। এই বৈঠকে ১৬টি রাজ্যের প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এসময় একে একে প্রায় ১২৫ জন প্রার্থীর মগজ ধোলাই করা হয়। এখন বলা হচ্ছে যে দলটি দু-একদিনের মধ্যে তার প্রথম তালিকা প্রকাশ করবে। বৈঠকে জেপি নাড্ডা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং রাজ্যের অনেক মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।