ফের বর্বরতা! ফের গণধর্ষণ। ঘটনাস্থল আগ্রার একটি হোমস্টে। ওই হোমস্টের একজন তরুনী কর্মচারীকে মারধর করে,জোর করে মদ পান করিয়ে তারপর গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার কয়েকটা ভিডিও ভাইরাল। ভিডিওগুলির সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা ২৪x৭ নিউজ পোর্টাল। ভাইরাল ভিডিওতে আক্রান্ত মহিলাকে কাঁদতে কাঁদতে সাহায্য চাইতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ণ সৃষ্টি করেছে। ইতিমধ্যেই ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ধৃত ৫ জনের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছে।
আক্রান্ত মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন যে তাকে তার বন্ধু এবং আরও কয়েকজন আগে মদ্যপান করতে বাধ্য করে। এরপর তাকে একটি ঘরে টেনে নিয়ে যায় এবং প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে কয়েকজন ব্যক্তি তাকে মারধর করে বলে জানান নির্যাতিতা। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে তার মাথায় একটি কাচের বোতলও ভাঙা হয়, এমনটাই সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে।
এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ধর্ষণ, হামলা এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ধারার অধীনে একটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় চারজন পুরুষ ও একজন মহিলাকে আটক করা হয়েছে। নির্যাতিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
জানা যাচ্ছে নির্যাতিতা এই হোমস্টের একজন কর্মচারী এবং দেড় বছর ধরে সেখানে কাজ করছেন। আরেকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে নির্যাতিতা সাহায্যের জন্য কাতর আর্জি করছেন এবং ঠিক সেই সময়ই তাকে একজন ঘরের মধ্যে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। “দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন!”, নির্যাতিতাকে ভিডিওতে বলতে শোনা যাচ্ছে। ক্লিপটিতে তাকে মাটিতে শুয়ে থাকতেও দেখা গেছে। “নির্যাতনের” অভিযোগ এনেছেন নির্যাতিতা মহিলা।
অন্য একটি ভিডিওতে, মহিলাকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে তার আগে তৈরি করা একটি আপত্তিকর ভিডিওর জন্য তাকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে। ভিডিওতে তিনি বলেন, “দয়া করে আমাকে বাঁচান! আমার চারটি মেয়ে আছে। তারা আমাকে টেনে নিয়ে গেছে, আমার ফোন কেড়ে নিয়েছে। তারা আমার একটি ভিডিও ব্যবহার করে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছে। তারা আমার কাছ থেকে টাকাও নিয়েছে।”
আগ্রার সিনিয়র পুলিশ অফিসার সদর অর্চনা সিং জানান তাজগঞ্জ পুলিশ হোটেলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পেয়েছিল। নির্যাতিতার অভিযোগ অনুযায়ী এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে হোমস্টেটি বর্তমানে সিল করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে “শনিবার মধ্যরাতে নির্যাতিতার কাছ থেকে আমরা একটি কল পাই, উনি সাহায্যের জন্য কান্নাকাটি করছিলেন। আমরা হোমস্টে গিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। নির্যাতিতার বয়স প্রায় ২৫ বছর এবং তিনি হোমস্টে কাজ করেন।” “তিনি ধর্ষিত হওয়ার বিষয়ে আমাদের কাছে পুরো ঘটনাটি বর্ণনা করেন, এবং বলেন যে অভিযুক্তরা তাকে মারধর করেছে।
