নয়াদিল্লি: অপারেশন সিঁদুরে প্রাণপণ লড়াই করে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছিলেন স্থায়ী সেনা জওয়ানদের সঙ্গে। কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শত্রুকে মাটি ধরিয়েছেন। এবার সেই সাহসিকতা হয়তো বদলে দিতে চলেছে অগ্নিবীরদের ভবিষ্যৎ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সূত্র বলছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সাড়ে তিন দিনের সংঘর্ষে প্রায় সাড়ে চার হাজার অগ্নিবীরের ভূমিকা সেনা, নৌ ও বায়ুসেনার শীর্ষ আধিকারিকদের মন জয় করেছে। তিন বাহিনীর প্রধানই নাকি কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রকের কাছে সুপারিশ করেছেন— অগ্নিবীরদের স্থায়ী নিয়োগের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হোক। একই সঙ্গে বাড়তে পারে বর্তমানে কর্মরতদের মেয়াদও।
২০২২ সালে শুরু ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প
সেনা, নৌ ও বায়ুসেনায় চার বছরের জন্য স্বল্পমেয়াদি নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়। পোশাকি নাম দেওয়া হয় ‘অগ্নিবীর’। ঘোষণার সময় বলা হয়েছিল, চার বছরের মেয়াদ শেষে মাত্র ১০ শতাংশ অগ্নিবীরকে স্থায়ী কমিশন দেওয়া হবে, বাকিদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে বাহিনীর বাইরে অন্য কর্মসংস্থানের উপর। এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে বিরোধীরা যেমন তীব্র সমালোচনা করেছে, তেমনই উত্তরপ্রদেশ, বিহার, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত একাধিক রাজ্যে বিক্ষোভ হয়েছে সেনায় চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে।
পাল্টাতে চলছে অগ্নিবীরদের ভবিষ্যৎ Agniveer retention rate increasing
এবার পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে। প্রতিরক্ষা সূত্রে খবর, প্রথম দফার অগ্নিবীরদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালের শেষদিকে। তার আগেই স্থায়ী নিয়োগের কোটা ১০ শতাংশ থেকে এক ধাক্কায় ৮০–৯০ শতাংশে পৌঁছতে পারে যদিও তা নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট বাহিনী ও বিভাগের প্রয়োজনের উপর। সরকার নাকি নজর রাখছে যাতে অগ্নিবীরদের গড় বয়স সেনার মানদণ্ডে থেকে যায়।
যদি এই সুপারিশ কার্যকর হয়, তবে অগ্নিবীর প্রকল্প নিয়ে শুরু থেকেই যে অনিশ্চয়তা ও ক্ষোভ ছিল, তার বড় অংশই প্রশমিত হতে পারে— এবং দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অগ্নিবীররা আরও দৃঢ়ভাবে যুক্ত হতে পারেন।
Bharat: Agniveer scheme may see a significant change as top military officials recommend increasing the permanent recruitment quota from 10% to up to 90% after their exceptional performance in ‘Operation Sindoor.’ The new policy may also extend their service tenure.