Mid Day Meal: সাপের ঝোল দিয়েই মিড ডে মিল! চেটেপুটে খেয়ে অসুস্থ পড়ুয়ারা

কে জানত সাপ সেদ্ধ হয়ে গেছে খাবারের সাথে। সেই গলা সাপ মেশানো মিড ডে মিল (Mid Day Meal) খাবার খেয়ে অসুস্থ শতাধিক পড়ুয়া। তীব্র বিতর্ক…

কে জানত সাপ সেদ্ধ হয়ে গেছে খাবারের সাথে। সেই গলা সাপ মেশানো মিড ডে মিল (Mid Day Meal) খাবার খেয়ে অসুস্থ শতাধিক পড়ুয়া। তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।

অন্যান্য দিনের মতো শনিবারও মিড ডে মিল রান্না হয়েছিল। বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা সেই খাবার চেটেপুটে খেয়ে নেয়। তার পরই অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে দেখা যায় রান্নার সময় একটা সাপ সেদ্ধ হয়ে গেছে। সেই রান্না খেয়েই অসুস্থ শতাধিক।

বিহারের আরারিয়া জেলার প্রায় ১০০ জন পড়ুয়াকে দুপুরের খাবার খাওয়ার পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মিড ডে মিলে একটি মৃত সাপ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। শনিবার জোগবানী নগর পরিষদের অধীন ২১ নং ওয়ার্ডের আমৌনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

আরারিয়া জেলা শিক্ষা আধিকারিক (ডিইও) রাজকুমার বলেন, যারা মিড ডে মিল খেয়েছিল তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সবাই নিরাপদে আছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, শিশুরা চিকিৎসাধীন এবং তারা বিপদমুক্ত।

স্থানীয় বিদ্যালয় পরিদর্শক বলেছেন,  তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা দোষী প্রমাণিত হবে তাদের রেহাই দেওয়া হবে না। একটি এনজিওকে ওই স্কুলে মধ্যাহ্নভোজ সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি এবং তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ পেলে এনজিওর লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

জানা গিয়েছে, এক ছাত্র মধ্যাহ্নভোজ পরিবেশন করার সময় মৃত সাপটিকে দেখেছিল। সে তখনই জানায় খাবারে সাপ আছে। ততক্ষণ প্রায় ১০০ শিশু পড়ুয়া খাবার খেয়ে নেয়। তাদের তড়িঘড়ি হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়।

শিশু পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যান শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা এবং ডিইও। কর্মকর্তারা বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষক ও কর্মচারীদের সাথে কথা বলেন।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিযোগ, আমরা এনজিওর কাছে মিড-ডে মিলের মান নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ করেছি, কিন্তু তারা শোনেনি। এনজিওর একজন কর্মী বলেছেন, আমরা জানি না কিভাবে মরা সাপটি মিড-ডে মিলের মধ্যে পাওয়া গেছে।

গত বছর নভেম্বরে ভাগলপুরের নওগাছিয়ার একটি  বিদ্যালয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে অন্তত ২০০ পড়ুয়া।