‘ভোট চুরি’ (Vote Rigging) প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধী এবং নির্বাচন কমিশন বাদানুবাদের মধ্যেই বিতর্কের আগুনে ঘৃতাহুতি দিল আমি আদমি পার্টি। আপ দাবি করেছে যে, নির্বাচনের আগে বিজেপি-সমর্থিত ব্যক্তিরা, নন-বিজেপি ভোটারদের নাম ভোটার তালিকা থেকে মুছে ফেলার ব্যাপক জালিয়াতি করেছে। এই অভিযোগের ফলে রাজনৈতিক মহলে ফের বেড়েছে চাপানউতোর।
আপ নেতা সৌরভ ভারদ্বাজ আজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “আমরা প্রমাণসহ দেখিয়েছি যে, নির্বাচনের আগে নয়াদিল্লি কেন্দ্রীয় আসন থেকে ৬,১৬৬ ভোটারের নাম মুছে ফেলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এটা শুধু সংখ্যা নয়, গণতন্ত্রের খুন। বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশন মিলে এই চুরি করেছে।”
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, শাহদারা কেন্দ্রীয় আসনে বিজেপি কর্মী বিশাল ভারদ্বাজ একাই ১১,০১৮ ভোটারের নাম মুছে ফেলার আবেদন করেছিলেন। এছাড়া, নিউ দিল্লি আসনে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কেন্দ্র থেকে ৪২,০০০-এর বেশি নাম মুছে ফেলা হয়েছে। আপ দাবি করেছে যে, এই মুছে ফেলার লক্ষ্য ছিল পুর্বাঞ্চলী (উত্তরপ্রদেশ ও বিহার থেকে আগত) ভোটাররা, যারা আপ-সমর্থক।
আগস্ট মাসে আপ তার অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও প্রকাশ করে ‘ভোট চুরি’-র অভিযোগ তুলেছিল। একটি ভিডিওতে কেজরিওয়ালের পুরনো ক্লিপ দেখানো হয়েছে, যেখানে তিনি বলছেন, “বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশন মিলে শাহদারা আসনে ১১,০০০ ভোটারের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে।”
আপ মুখপাত্র প্রিয়াঙ্কা কাক্কার বলেছেন, “এই ‘এসআইআর মডেল’ (স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন) বিজেপির নির্দেশে চালানো হয়েছে, যা ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে বেলাগাম ভোট চুরি করছে। দিল্লির ১৪টি আসনে এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা ৩,০০০ পৃষ্ঠার অভিযোগসহ শপথপত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছি, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে ফলাফল অবৈধ ঘোষণা করতে হবে।”
চাকরিহারা গ্রুপ সি-ডি কর্মীদের ভাতা স্থগিত, নির্দেশ হাইকোর্টের
২০২৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি একযোগে অনুষ্ঠিত দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৪৮টি আসন জিতে ক্ষমতায় এসেছে। নির্বাচনে আপ-এর সংখ্যা ছিল ২২। কেজরিওয়াল নিজের নিউ দিল্লি আসন হারিয়েছিলেন বিজেপির পারভেশ ভার্মার কাছে। এই পরাজয়কেও কেজরীবাহিনী ‘ভোট চুরি’-র ফল বলে দাবি করছে। রাজ্যসভা সাংসদ সঞ্জয় সিং বলেছেন, “বিজেপি আমার স্ত্রীর নামও মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে, কারণ আমি রাজ্যসভায় পুর্বাঞ্চলী ভোটারদের নাম মুছে ফেলার বিষয় তুলেছিলাম। এটি গণতন্ত্রের উপর হামলা।”