শ্রীহরিকোটার আকাশে নতুন অধ্যায়, নিসার নজর রাখবে ভূপৃষ্ঠে

ফের একবার মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করল ভারত। বুধবার বিকেলে বিশ্বের প্রথম ভারত-মার্কিন যৌথ উদ্যোগে তৈরি নিসার (NISAR) উপগ্রহ সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ হল।…

India US NISAR space mission

ফের একবার মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করল ভারত। বুধবার বিকেলে বিশ্বের প্রথম ভারত-মার্কিন যৌথ উদ্যোগে তৈরি নিসার (NISAR) উপগ্রহ সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ হল। পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের ওপর নজরদারি চালাবে এই উন্নত প্রযুক্তির উপগ্রহ, যা তৈরি করেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO) এবং মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)।

বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে জিএসএলভি-এফ১৬ (GSLV-F16) রকেটে ভর করে নিসার মহাকাশের পথে রওনা দেয়। প্রায় ২,৩৯৩ কেজি ওজনের এই স্যাটেলাইটের আয়ুষ্কাল নির্ধারিত হয়েছে ৫ বছর।

   

উল্লেখ্য, নিসার নামটি হয়েছে নাসা এবং ইসরো নামের সংযোজনে। এটির পুরো নাম নাসা-ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার স্যাটেলাইট। দুদেশের মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রকে আরোও শক্তিশালী করতে এই উদ্যোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় এক দশকের বেশি সময় ধরে ভারত-মার্কিন গবেষকদের দক্ষতা ও সফ্টওয়্যার-হার্ডওয়্যার বিনিময়ে এই উপগ্রহের জন্ম হয়েছে।

নিসার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে সান-সিনক্রোনাস কক্ষপথে, অর্থাৎ প্রতিদিন একই সময়ে পৃথিবীর নির্দিষ্ট অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রায় ৯০ ডিগ্রি কৌণিক অবস্থানে মেরুর কাছ দিয়ে অতিক্রম করবে।

Advertisements

এই স্যাটেলাইট ভূমি ও তুষারের ক্ষয়, জমির বাস্তুতন্ত্র, বনাঞ্চলের ঋতুভিত্তিক পরিবর্তন, পর্বতের চ্যুতি, হিমালয় ও আন্টার্কটিকার হিমবাহের গতিবিধি, উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর অবস্থা এবং আমেরিকা-ভারতের যৌথ স্বার্থসংশ্লিষ্ট মহাসাগরীয় অঞ্চল সম্পর্কে তথ্য ও ছবি সংগ্রহ ও প্রেরণ করবে।

উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়ার কাউন্টডাউন শুরু হয়েছিল গত ২৯ জুলাই দুপুর ২টা ১০ মিনিটে। ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মিশনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আরও গভীর গবেষণার সুযোগ তৈরি হবে।