UP: যোগীর গোরক্ষপুরে নিষাদদের কুপিয়ে খুন, তীব্র আলোড়ন

  মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগেই একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের রহস্য মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই এবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী…

UP: যোগীর গোরক্ষপুরে নিষাদদের কুপিয়ে খুন, তীব্র আলোড়ন

 

মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগেই একই পরিবারের পাঁচ সদস্যের রহস্য মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই এবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিধানসভা কেন্দ্র গোরক্ষপুরে কুপিয়ে খুনের ঘটল।

   

গোরক্ষপুরে একই পরিবারের তিনজন সদস্যকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। যোগীর রাজ্যে যেভাবে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে তাতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, উত্তরপ্রদেশে কি আইন-শৃঙ্খলা বলে আদৌ কোনও বস্তু আছে?

গোরক্ষপুর জেলা পুলিশ সুপার বিপিন টাডা জানিয়েছেন, জেলার ফুলবাড়ে সোমবার রাতে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রী ও তাঁদের বছর ২০-র মেয়েকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে এই খুনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে পথে নামে মানুষ।

পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত অলোক পাসওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন সে নির্মমভাবে তিনজনকে হত্যা করলো তা জানতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে নিহত ব্যক্তির মেয়ের সঙ্গে অলোকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু মেয়েটি এক সময় অলোকের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে। সম্পর্ক ছেদ করার কারণেই অলোক ওই তরুণী উপর প্রবল ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সেই ক্ষোভ থেকেই অলোক পরিবারের তিনজনকে খুন করেছে।

ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানা ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আশা করা যায়, খুব শীঘ্রই এই খুনের সব চক্রান্ত ফাঁস হবে। অলোকের সঙ্গে এই খুনের ঘটনায় আর কেউ জড়িত ছিল কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে অনুমান করা হচ্ছে, এভাবে তিনজনকে খুন করতে গেলে অলোককে আরও কয়েকজনের সাহায্য নিতে হয়েছে।

মৃত তিনজন হলেন গামা নিশাদ (৪২), তাঁর স্ত্রী সঞ্জু নিশাদ (৩৮) ও তাঁদের মেয়ে প্রীতি (২০)। জানা গিয়েছে, ওই তিনজন সোমবার রাতে একটি বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তাঁরা বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরই অলোক একটি বেলচা নিয়ে তাঁদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই তাদের তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়। তবে পরে বিয়েবাড়ি যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছিন ওই দম্পতি ছেলে আচ্ছেলাল।

Advertisements