গত চার বছরে ৭০০ স্থানীয় যুবককে নিয়োগ কাশ্মীরের জঙ্গি সংগঠনগুলোর

ভয়ঙ্কর তথ্য ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে। গত চার বছরে জম্মু কাশ্মীরের সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলো ৭০০ জন স্থানীয় য়ুবকের মগজ ধোলাই করে তাদের সংগঠনের কাজে নিয়োগ করেছে।…

Naga militants shot in Bengali inhabited district

ভয়ঙ্কর তথ্য ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাতে। গত চার বছরে জম্মু কাশ্মীরের সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলো ৭০০ জন স্থানীয় য়ুবকের মগজ ধোলাই করে তাদের সংগঠনের কাজে নিয়োগ করেছে। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে জম্মু কাশ্মীরে বর্তমানে ১৪১ জন সক্রিয় জঙ্গি রয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বিদেশী। সেনা আধিকারিকদের মতে, জম্মু ও কাশ্মীরে বিপুল সংখ্যক সন্ত্রাসবাদীর উপস্থিতি সীমান্তের ওপারে অবস্থিত জঙ্গি শিবিরের সঙ্গে গভীর যোগাযোগের ইঙ্গিত দেয়। মূলত পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গিসংগঠনগুলিই পাক জঙ্গিদের উপত্যকায় অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে বলে অনুমান।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের পাঁচই জুলাই পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরে মোট ৮২ জন বিদেশী জঙ্গি এবং ৫৯ জন স্থানীয় জঙ্গি সক্রিয় ছিল। এই বিষয়ে, একজন সেনা আধিকারিক বলেছেন যে এই জঙ্গিরা মূলত লস্কর-ই-তৈবা, এর সহযোগী সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট, জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সংগঠনের সক্রিয় সদস্য।

বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন গত চার বছরে জম্মু কাশ্মীরে ৭০০ জন স্থানীয় যুবককে নিয়োগ করেছে, যার মধ্যে ২০১৮ সালে ১৮৭ জন, ২০১৯ সালে ১২১ জন, ২০২০ সালে ১৮১ জন এবং ২০২১ সালে ১৪২ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। চলতি বছরের জুনের শেষ পর্যন্ত ৬৯ জন যুবককে জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগ করা হয়েছে।

একই সময়ে, নিরাপত্তা বাহিনী এ বছর এ পর্যন্ত ৫৫টি এনকাউন্টারে ১২৫ জন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে। এ বছর জঙ্গি হামলায় এখনও পর্যন্ত দুইজন নিরাপত্তা কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন এবং আরও ২৩ জন আহত হয়েছেন। এ বছর জম্মু ও কাশ্মীরে ২০ জন সাধারণ নাগরিকও নিহত হয়েছেন। এর পাশাপাশি এ বছর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আটটি গ্রেনেড হামলা হয়েছে। তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ১৪৬ জন জঙ্গি এবং ৪১ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছিলেন এবং তিনজন নিরাপত্তা কর্মীও প্রাণ হারিয়েছিলেন। গত বছর জঙ্গি হামলার ঘটনায় মোট ৬৩ জন নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়েছেন।