কর্মহীন হবেন ৫ লাখ, দাবি বরুণ গান্ধীর

বরুণ গান্ধী ঠিক কী করতে চাইছেন সেটা তাঁর দল বিজেপিও বুঝে উঠতে পারছেন না। মাঝেমধ্যেই তিনি এমন সব মন্তব্য করছেন যা গেরুয়া শিবিরকে একেবারে নাজেহাল…

বরুণ গান্ধী ঠিক কী করতে চাইছেন সেটা তাঁর দল বিজেপিও বুঝে উঠতে পারছেন না। মাঝেমধ্যেই তিনি এমন সব মন্তব্য করছেন যা গেরুয়া শিবিরকে একেবারে নাজেহাল করে দিচ্ছে। এবার বরুণ গান্ধী স্পষ্ট বললেন, যদি রেল ও ব্যাংক বেসরকারিকরণ করা হয় তাহলে ৫ লক্ষ মানুষ তাঁদের চাকরি হারাবেন।

যথারীতি বরুণের এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বরুণ ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ব্যাংক ও রেল বেসরকারিকরণ করা হলে ৫ লক্ষ কর্মী তাঁদের চাকরি হারাবেন। যে সমস্ত কর্মী চাকরি হারাবেন তাঁদের পরিবারের সব স্বপ্ন, আশা ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় সরকার পুঁজিবাদের পৃষ্ঠপোষকতার যে নীতি নিয়ে চলছে তা একেবারে ভুলে ভরা এবং অত্যন্ত ক্ষতিকর। কোনও জনদরদী সরকার এভাবে সামাজিক স্তরে আর্থিক বৈষম্য তৈরি করে পুঁজিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারে না।

বুধবার উত্তরপ্রদেশের চতুর্থ দফায় ভোটগ্রহণের ঠিক তার আগেই বরুণের এই অভিযোগ নিশ্চিতভাবেই বিজেপিকে বড় মাপের সমস্যায় ফেলবে। তবে এই প্রথম যে বরুণ গান্ধী এমন বেফাঁস মন্তব্য করলেন তা নয়। গত কয়েক মাস ধরেই এভাবেই তিনি দলের নীতির বাইরে গিয়ে একাধিকবার মন্তব্য করেছেন। যা বিজেপিকে বিপাকে ফেলেছে। লখিমপুর খেরিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে অজয় মিশ্রর ছেলে আশিসের গাড়ির চাকায় পিষে ৪ কৃষকের মৃত্যুর পরও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন বরুণ। মন্ত্রী পুত্রকে গ্রেফতারের দাবিও করেছিলেন এই তরুণ বিজেপি সাংসদ। কয়েকদিন আগে বিজয় মালিয়া, নীরব মোদীর মতো একের পর এক দেশ ছেড়ে পালানো শিল্পপতিদের বিরুদ্ধেও তিনি নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।

একইসঙ্গে বলেছিলেন, বেকারত্বের কারণে দেশে আত্মহত্যার সংখ্যা বাড়ছে। বরুণের দাবি, এ ধরনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে হলে সরকারের উচিত দৃঢ় পদক্ষেপ করা। কৃষি আইন প্রত্যাহার করার পরও বরুণ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে দেওয়া খোলা চিঠিতে বরুণ বলেছিলেন, সরকার যদি আগেই এই আইন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিত তাহলে ৭০০-রও বেশি কৃষককে অকালে প্রাণ হারাতে হত না। বরুণের এ ধরনের একের পর এক দল বিরোধী মন্তব্যের জেরে কয়েক মাস আগেই তাঁকে দলের জাতীয় নির্বাহী থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে শুধু বরুণ নয়, বাদ দেওয়া হয়েছে তার সাংসদ মা মানেকা গান্ধীকেও।