Chandryaan 3: চন্দ্রযান অবতরণে দুই প্রধান খুঁটি NASA-ESA, দ্য হিন্দুর রিপোর্টে ইসরোর অস্বস্তি

অস্বস্তিতে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO)। এই অস্বস্তির কারণ দেশের অন্যতম সংবাদপত্র ‘The Hindu’- প্রকাশ করা সংবাদ-কীভাবে চন্দ্রযানের (Chandrayaan 3) সফল অবতরণে আমেরিকা ও ইউরোপের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা দুটি সাহায্য করেছিল।

Chandrayaan 3's Moon Landing Success

অস্বস্তিতে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO)। এই অস্বস্তির কারণ দেশের অন্যতম সংবাদপত্র ‘The Hindu’- প্রকাশ করা সংবাদ-কীভাবে চন্দ্রযানের (Chandrayaan 3) সফল অবতরণে আমেরিকা ও ইউরোপের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা দুটি সাহায্য করেছিল। দ্য হিন্দু প্রকাশিত “How NASA, ESA will support ISRO during the Moon landing on August 23” শিরোনামের সংবাদ ধরেই এবার একাধিক মহাকাশ বিজ্ঞানী-গবেষকরা সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন তুলছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযানের ঐতিহাসিক অবতরণ হয়েছে তাতে ইসরোর ভূমিকা কতটুকু ? আরও প্রশ্ন উঠছে, সফল অবতরণের পর কেন নাসা ও ইএসএ সংস্থার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা হচ্ছে না? দ্য হিন্দুর সংবাদ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও ছড়িয়েছে আলোড়ন।

কী লিখেছে দ্য হিন্দু? এই খ্যাতিসম্পন্ন সংবাদপত্রটির প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে চন্দ্রযান ৩ অভিযানে কীভাবে আমেরিকা ও ইউরোপের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সাহায্য করেছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত 14 জুলাই চন্দ্রযান-3 মিশন চালু হওয়ার পর থেকে, ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NASA) এবং ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির (ESA) গ্রাউন্ড স্টেশনগুলি চন্দ্রযানকে এক নাগাড়ে নিরীক্ষণ করে গিয়েছে। সেই কাজ এখনও চালু আছে। এই দুটি সংস্থা ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) কে টানা সহায়তা করছে।

জার্মানির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ESOC-এর গ্রাউন্ড অপারেশন ইঞ্জিনিয়ার রমেশ চেল্লাথুরাই দ্য হিন্দুকে বলেছেন, চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের পর থেকে, ESA তার কক্ষপথে স্যাটেলাইট ট্র্যাক করতে, মহাকাশযান থেকে টেলিমেট্রি গ্রহণ করতে এবং এটিকে বেঙ্গালুরুতে মিশন অপারেশন সেন্টারে ফরোয়ার্ড করার জন্য ESTRACK নেটওয়ার্কের দুটি গ্রাউন্ড স্টেশন ব্যবহার করে মিশনে সহায়তা করছে। তিনি বলেছেন, চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার 23 শে আগস্ট চন্দ্রপৃষ্ঠে নেমে যাওয়ার পর এই সংস্থাগুলির গ্রাউন্ড স্টেশনগুলির সমর্থন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

রমেশ চেল্লাথুরাই দ্য হিন্দুকে আরও জানান, ফ্রেঞ্চ গায়ানার কৌরোতে ESA-এর একটি 15-মিটার অ্যান্টেনা এবং ইংল্যান্ডের গুনহিলি আর্থ স্টেশনের অন্তর্গত 32-মিটার অ্যান্টেনা তাদের প্রযুক্তিগত ক্ষমতা দিয়ে নিয়মিতভাবে চন্দ্রযান-৩ মিশনের সাথে যোগাযোগ করছে। এদের সাথে বেঙ্গালুরুতে ইসরোর গবেষক ও চন্দ্রযান-৩ স্যাটেলাইটের মধ্যে সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখা হয়েছে।

তিনি বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার নিউ নর্সিয়াতে ESA-এর 35-মিটার গভীর স্পেস অ্যান্টেনা রাখা হয়েছে। নতুন নরসিয়া অ্যান্টেনা ISRO-এর নিজস্ব গ্রাউন্ড স্টেশনের ব্যাক আপ হিসেবে কাজ করছে। এটি ইসরো স্টেশনের সমান্তরালে ল্যান্ডার মডিউলের অবস্থান এবং গতিপথ সম্পর্কে তথ্য পাবে। দ্য হিন্দুতে রমেশ চেল্লাথুরাইয়ের মন্তব্য ও বিশ্লেষণ সহ প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকে ইসরোর ভূমিকা নিয়ে বিশ্বজুড়ে মহাকাশ গবেষকদের লাগাতার প্রশ্নের পরও নীরব ইসরো।