Sikkim: সিকিমে ভূমিধসে আটকে পড়া ৩৫০০ পর্যটককে উদ্ধার করেছে সেনা

গত কয়েকদিন ধরে সিকিম জুড়ে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তর সিকিমের চুংথাং-এর কাছে ভূমিধস নামে। যার জেরে একটি সেতু ভেসে যাওয়ার কারণে প্রায় ৩৩৫০ জন পর্যটক…

গত কয়েকদিন ধরে সিকিম জুড়ে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তর সিকিমের চুংথাং-এর কাছে ভূমিধস নামে। যার জেরে একটি সেতু ভেসে যাওয়ার কারণে প্রায় ৩৩৫০ জন পর্যটক আটকা পড়েছিলেন।

আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করতে ত্রিশক্তি কর্পস, ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের সৈন্যরা জোর কদমে মাঠে নামেন। পর্যটকদের উদ্ধারের সুবিধার্থে আকস্মিক বন্যা এলাকায় একটি অস্থায়ী ক্রসিং তৈরি করতে ভারী বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেও তারা রাতভর কাজ করে চলেছে।

ভারতীয় সেনাবাহিনীরা পর্যটকদের নদী পার হতে সাহায্য করে। এর সঙ্গেই তাদের জন্য গরম খাবার, তাঁবু এবং সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

১৭ জুন ১৫০০ ঘন্টা পর্যন্ত ২০০০ জনেরও বেশি পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সড়কপথে যাতায়াত ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা চলছে। এর সঙ্গেই পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ অব্যাহত রয়েছে। ইতি মধ্যেই তাঁবু স্থাপন করা হচ্ছে, এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পর্যটকদের পরবর্তী যাত্রার উদ্দেশ্যে রাস্তা পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত তাদের সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে। ভারতীয় সেনাবাহিনী, হিমালয়ের সুপার হাই-অল্টিটিউড এলাকায় সীমান্ত পাহারা দেওয়ার সময়, পর্যটক এবং স্থানীয় জনগণকে সহায়তা প্রদানে সক্রিয় রয়েছে।

অন্যদিকে, জেলা প্রশাসনকে রাজ্য সরকারের দ্বারা ক্রমাগত নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে এবং ১৬ই জুন, সন্ধ্যায় সেই অনুযায়ী সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। QRT (DDMA), সিকিম পুলিশ, GREF, BRO, ITBP, সেনা, ভ্রমণ সংস্থার কর্মীদের অ্যাসোসিয়েশন সিকিমকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে।

এখনও পর্যন্ত ৭০টি ছোট যানবাহনের সঙ্গে ১৯টি বাসের একটি অস্থায়ী সংখ্যক ত্রাণ ব্যবস্থা করা হয়েছে। রিপোর্ট করার সময় পর্যন্ত, ১২৩ জন যাত্রী, সঙ্গে পর্যটক বহনকারী ৩টি বাস এবং ২টি হালকা যানবাহন এখনও পর্যন্ত সরিয়ে গ্যাংটকের দিকে নেওয়া হয়েছে। এবং রাস্তায় আরও বাস ও যানবাহন চলানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পথে বেশ কিছু যানবাহন চলছে।

জানা গেছে এখনও পর্যন্ত জনসাধারণ এবং পঞ্চায়েতের সাহায্যের দ্বারা ভূমিধস এলাকার উপর দুটি লগ ব্রিজ নির্মাণ করার কাজ চলছে।