৩ শতাংশ দেশবাসী জীবন বীমার অন্তর্ভূক্ত, বলছে সমীক্ষা

২০২২ সালে এসে জানা গেল এই মুহূর্তে প্রতি ১০০ জন ভারতবাসীর মধ্যে মাত্র ৩ জনের জীবন বিমা পলিসি আছে। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল মাত্র…

২০২২ সালে এসে জানা গেল এই মুহূর্তে প্রতি ১০০ জন ভারতবাসীর মধ্যে মাত্র ৩ জনের জীবন বিমা পলিসি আছে। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ২.৮২ শতাংশ। সে দিক থেকে দেখতে গেলে বিগত দুই বছরে এই সংখ্যাটা কিছুটা হলেও বেড়েছে। পাশাপাশি প্রতি ১০০ জনের মধ্যে নন লাইফ ইনসিওরেন্স পলিসি আছে মাত্র একজনের। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ভারতের চিত্রটা যথেষ্টই লজ্জাজনক।

https://video.incrementxserv.com/vast?vzId=IXV533296VEH1EC0&cb=100&pageurl=https://kolkata24x7.in&width=300&height=400

তবে এটা বলা যেতে পারে যে, বিমা সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ ক্রমশঃ বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবে বেড়েছে বিমা করার প্রবণতা। পরিসংখ্যান বলছে, ১১ বছর আগে অর্থাৎ ২০১১ সালে নন লাইফ ইনসিওরেন্স পলিসির পরিমাণ ছিল মাত্র ০.৭০ শতাংশ। আর্থিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশে জীবন বিমা ব্যবসা কিছুটা হলেও বেড়েছে। ২০১৪ সালে ১০০ জনের মধ্যে মাত্র ২.৬ শতাংশ মানুষের জীবন বিমা ছিল। তবে ২০১১ সালে জীবন বিমান সংখ্যা ছিল ৩.৪ শতাংশ অর্থাৎ প্রতি ১০০ জন মানুষের মধ্যে ৩.৪ শতাংশের জীবন বিমা ছিল। সেই হিসেবে দেখতে গেলে ২০২১ সালে জীবন বীমার ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলির থেকে ভারত অনেকটাই পিছিয়ে আছে।

ওই আর্থিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, নন লাইফ ইনসিওরেন্সের ক্ষেত্রে ভারত অনেকটাই পিছিয়ে আছে। ২০২০ সালে গোটা দুনিয়ায় জীবন বিমার ভাগছিল ৩.৩ শতাংশ এবং নন লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ক্ষেত্রে ৪.১ শতাংশ। ২০২১-এর বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, জীবন বিমা নিগমকে বেসরকারি হাতে তুলে দেবে সরকার। যদিও পরবর্তী ক্ষেত্রে সেই ঘোষণা কার্যকর হয়নি। তবে সরকার এলআইসির শেয়ার ছাড়ার পরিকল্পনা করেছে। চলতি অর্থবর্ষের মধ্যেই এলআইসির শেয়ার বাজারে এসে যাবে। এতে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলে মনে করছে কেন্দ্র।