হাথরসে বেঘোরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ১০৭ জন! প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে শিউরে উঠবেন

   উত্তরপ্রদেশের হাথরসে (Hathras) ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্টের ঘটনা এখন সংবাদ শিরোনামে রয়েছে। এই ঘটনায় হু হু করে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা। যদিও সরকারের তরফে দাবি করা…

  

উত্তরপ্রদেশের হাথরসে (Hathras) ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্টের ঘটনা এখন সংবাদ শিরোনামে রয়েছে। এই ঘটনায় হু হু করে বাড়ছে মৃত্যু সংখ্যা। যদিও সরকারের তরফে দাবি করা হচ্ছে, ৫০ থেকে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীরা আলাদাই তথ্য দিচ্ছেন। একজন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, ১০৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিনীত কুমার নামের একজন ব্যক্তি ঘটনাস্থল থেকেই জানিয়েছেন যে তিনি নিজের হাতে ১০৭টি মৃতদেহ গুনেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এহেন দাবিকে ঘিরে তোলপাড় হয়ে উঠেছে দেশ। আজ মঙ্গলবার হাথরসের রতিভানপুরে ‘ভোলে বাবা’র সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হয়ে অনেকে নিহত নিহত ও কয়েক ডজন আহত হয়েছেন। এই পদপিষ্ট হয়ে সবচেয়ে বেশি হতাহত হয়েছে শিশু ও মহিলারা। আহতদের ইটাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। পদপিষ্ট হওয়ার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

   

এদিকে হাথরসে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী লক্ষ্মী নারায়ণ চৌধুরি বড় মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, “যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আগামিকাল ঘটনাস্থলে যাবেন।”

এটাহের মেডিক্যাল কলেজে মৃতদেহের স্তূপ জমছে। যদিও মৃতদের সংখ্যা নিয়ে এখনও অনেক ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। হাথরসের দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে পিএমএনআরএফ থেকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। সূত্রের খবর, বুধবার হাথরাসে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। লোকসভার নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, “সরকারের উচিত সংবেদনশীল হওয়া এবং মানুষকে সাহায্য করা। যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। ”