কী হল মোদীর ঘরে ঢুকে মারার হুঁশিয়ারি? প্রশ্ন ওয়েইসির

ডোডা হামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদ-উল মুসলিমিন প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi)। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে…

ডোডা হামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদ-উল মুসলিমিন প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi)। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ বলেও তোপ দাগেন তিনি।

অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদ-উল মুসলিমিন (এআইএমআইএম/মিম) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi) বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বড় বড় কথা বলতেন। উনি বলতেন, বাড়িতে ঢুকে মেরে ফেলব। তাহলে এসব কী হচ্ছে? এটা সরকারের সম্পূর্ণ ব্যর্থতা। আমরা সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না। ডোডায় যা ঘটেছে, সেই জায়গাটি এলওসি থেকে অনেক দূরে। তাই এটা খুবই বিপজ্জনক ব্যাপার।

   

জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলায় জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে গুরুতর আহত তিন সেনা জওয়ান ও এক অফিসারের মৃত্যু হয়েছে মঙ্গলবার সকালে। হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তান সমর্থিত জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের অনুগামী সংগঠন ‘কাশ্মীর টাইগার্স’। ‘কাশ্মীর টাইগার্স’ সেই গোষ্ঠী যারা এর আগে ৯ জুলাই কাঠুয়ায় সেনা কনভয়ে হামলার দায় স্বীকার করেছিল।

ফেরত দিতে হবে না মাইনে? হাইকোর্টে শিক্ষকদের জয়ে মুখ পুড়লো শিক্ষা দফতরের!

এনকাউন্টারে শহিদ সেনারা হলেন – ক্যাপ্টেন ব্রিজেশ থাপা, নায়েক ডি রাজেশ, কনস্টেবল বিজেন্দ্র এবং কনস্টেবল অজয়। মোদীকে একহাত নিয়েছে কংগ্রেসও। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের কথায়, গত 36 দিনে জম্মু ও কাশ্মীরে যতগুলি জঙ্গি হামলা হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের নিরাপত্তা কৌশলে পরিবর্তন করা দরকার। মোদী সরকার এমন আচরণ করছে যেন সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলছে।

সোমবার সন্ধ্যায় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের (এসওজি) জওয়ানরা ডোডা শহর থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দূরে দেসা ফরেস্ট বেল্টের ধারি গোটে উরারবাগিতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল। আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় বাহিনী। দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বেধে যায়।

ভারতীয় সংসদে উঠল ‘জয় প্যালেস্তাইন’ স্লোগান, আসাদউদ্দিন ওয়েইসির কাণ্ডে হইহই

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জম্মু অঞ্চলের বেশ কয়েকটি জায়গায় জঙ্গি হামলার জেরে ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছিল। কখনও সেনা কনভয়ে, কখনও আবার সেনাগাড়ি লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছে গোলাগুলি ঘটনার জেরে তল্লাশিতে জোর দেওয়া হয়। কিন্তু সেই তল্লাশি চলাকালীনই ফের রক্তাক্ত হল উপত্যকা। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত তিন বছরে জম্মুতে জঙ্গি হানায় মোট ৪৭ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।