এবার ধনতেরসে গয়না নয়, অন্য জিনিস কিনেছিলেন বাপ্পি-দা, যা শুনলে চমকে যাবেন

ছোটবেলায় মা সোনার হার গলায় পরিয়ে দিয়েছিলেন। তাছাড়া সোনার গয়নাকে লাকি ধাতু হিসাবে মানতেন। সবসময় আটটা হার থাকত গলায়। যা কিনা রোজ বদলাতেন ডিস্কো কিং।…

ছোটবেলায় মা সোনার হার গলায় পরিয়ে দিয়েছিলেন। তাছাড়া সোনার গয়নাকে লাকি ধাতু হিসাবে মানতেন। সবসময় আটটা হার থাকত গলায়। যা কিনা রোজ বদলাতেন ডিস্কো কিং। জানা গিয়েছে, ওঁনার কাছে ৭৫৪ গ্রাম সোনার গয়না ছিল। তবে এত সোনার গয়না প্রীতি থাকা সত্ত্বেও জীবনের শেষ ধনতেরসে কিন্তু অলংঙ্কার কেনেননি তিনি। কিন্তু না কিনেছিলেন, তা শুনলে চমকে যাবেন আপনি।

না ধনতেরসে সোনার গয়না কেনেনি বটে কিন্তু সোনা অবশ্যই কিনেছিলেন। বাপ্পি জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রী এবছর ধরতেরসে কিনেছিলেন সোনার টি-সেট। সংসারে মঙ্গলের জন্য এই তিথিতে সোনা বা কাসার বাসনপত্রও কেনা হয়। আর এই দুই রীতিকে মিলিয়ে বাপ্পি কিনেছিলেন সোনার বাসন। আসলে, বাপ্পি আগেই পছন্দ করে রেখেছিলেন এটি পরে তাঁর স্ত্রী কিনে আনেন সেই উপহার। সুরকারের মনে হয়েছিল তাঁর কাছে সোনার সব কিছু আছে শুধু নেই এই চা-পানের পাত্রটি। জীবনের শেষ ধনতেরসে যে শখ মিটিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।

২০১৪ সালে নির্বাচনের জন্য সম্পত্তির ডিক্লারেশনে তিনি জানিয়েছিলেন তাঁর কাছে ৭৫৪ গ্রাম সোনা রয়েছে। তাছাড়া ওঁনার কাছে ৫৫ লক্ষ টাকার টেসলা গাড়িও ছিল। আসলে সোনার গয়না ছাড়া দামি গাড়ির প্রতিও দারুণ আকর্ষণ ছিল বাপ্পি-দার। তাঁর গ্যারাজে ৫ টি অত্যন্ত দামি গাড়ির মধ্যে রয়েছে বিএলডাব্লু, আউডি-র মতো গাড়ি। ২০২১-এর কারনলেজের তথ্য অনুযায়ী, বাপ্পি লাহিড়ির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩ মিলিয়ন ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২২ কোটি টাকার সম্পত্তি। বাপ্পি লাহিড়ির মাসিক আয় ২০ লক্ষ টাকা এবং বাৎসরিক আয় ২ কোটি টাকারও বেশি ছিল। তিনি সিনেমার একটা গানের জন্য ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নিতেন। তাছাড়া বিভিন্ন মিউজিক কম্পোজিশনের পাশাপাশি স্টেজ শো-থেকে প্রচুর রোজগার করতেন।