তালিবান-রাজ: বোরখা পরেই দেশ ছেড়েছেন আফগানিস্তানের মহিলা মেয়র

নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তান আমাদের ছিল, আমাদেরই থাকবে। এই ডাক দিয়েই দেশ ছেড়েছিলেন আফগানিস্তানের প্রথম মহিলা মেয়র জারিফা ঘাফারি। এই মুহূর্তে জার্মানিতে রয়েছেন তিনি। একইভাবে দেশ…

নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তান আমাদের ছিল, আমাদেরই থাকবে। এই ডাক দিয়েই দেশ ছেড়েছিলেন আফগানিস্তানের প্রথম মহিলা মেয়র জারিফা ঘাফারি। এই মুহূর্তে জার্মানিতে রয়েছেন তিনি। একইভাবে দেশ ছেড়েছেন আফগানিস্তানের চারকিন্ত জেলার গভর্নর ছিলেন সালিমা মাজারিও। আসাওরাফ ঘানি সরকারের তিন মহিলা মেয়রের মধ্যে অন্যতম জারিফা এবং সালিমা দু’জনেই জানিয়েছেন, ‘সাধারণ মানুষ কখনও তালিবানের বিরুদ্ধে মুখ খোলেনি। এর জন্য দেশের নেতাদের পাশাপাশি দায়ী বিশ্বের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও।’

Advertisements

আরও পড়ুন আবদুল গণি বরাদার: তালিবান নেতা থেকে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি

বিজ্ঞাপন

যদিও পঞ্জশিরের মতোই তালিবানরা যথেষ্ট বেগ পেয়েছেন বলখ প্রদেশ দখল করতে গিয়েও। তার অনেকটা কৃতিত্ব সালিমা মাজারির। আফগানিস্তানের একের পর এক প্রদেশ যখন তালিবানদের দখলে চলে যাচ্ছিল, তখন বলখ প্রদেশের রক্ষায় সালিমা হাতে তুলে নিয়েছিলেন অস্ত্র। অস্ত্র হাতে তার ছবিও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল।

Salima Mazari
বলখ প্রদেশ রক্ষায় যুদ্ধরত সালিমা মাজারি।

যদিও শেষপর্যন্ত বলখ প্রদেশ দখল করে নেয় তালিবানরা। একই সঙ্গে সালিমার চারকিন্ত জেলাও দখল করে নেয় তালিবানি যোদ্ধারা। অন্যদিকে বলখের প্রদেশের পতনের পর থেকে সালিমার খোঁজ মিলছিল না। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল, সালিমা তালিবানের হাতে ধরা পড়েছেন। আবার কারও দাবি ছিল, তিনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন উধাও বরাদর-আখুন্দজাদা: দুই তালিবান শীর্ষনেতার মৃত্যু সংবাদ ঘিরে জল্পনা

যদিও এবার জানা গিয়েছে, বলখ প্রদেশের পতনের পর নিরাপদেই দেশ ছেড়েছেন সালিমা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম টাইমের দুই সাংবাদিকের সহায়তায় স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে সালিমা রওনা দেন আফগানিস্তান-উজবেকিস্তান সীমান্তের হয়রতনের দিকে। উজবেকিস্তান সালিমাকে আশ্রয় দিতে আপত্তি করে। পরে তিনি পরিবার নিয়ে কাবুল চলে আসেন। তালিবানিদের মাঝে বোরকা পরে লুকিয়ে থাকেন বেশ কিছুদিন। এরপর ২৫ আগস্ট সালিমার এবং তাঁর পরিবারকে নিয়ে আকাশে ওড়ে আমেরিকার উদ্ধারকারী বিমান। হাজারা সম্প্রদায়ের সালিমা ও তাঁর পরিবারকে প্রথমে কাতার এবং তার পর আমেরিকার একটি অজানা জায়গায় রাখা হয়েছে।