কাবুল এয়ারপোর্টের সুইসাইড-বোম্বার গ্রেফতার হয় দিল্লিতে: চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

kabul airport blast

নিউজ ডেস্ক: গোয়েন্দা রিপোর্টে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও এড়ানো যায়নি কাবুলের আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। ২৬ অগাস্ট ওই বিস্ফোরণের দায় যে হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট। মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান ছাড়ার পাঁচদিন আগে জোড়া আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল কাবুল বিমানবন্দরের বাইরের এলাকা। 

Advertisements

 

   

আরও পড়ুন Explained: আবদুল গণি বরাদার এবং তালিবান সরকারের অংশীদার হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরোধ

এবার প্রকাশ্যে এল আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আইএসআইএস-কে প্রোপাগান্ডা ম্যাগাজিনের (ISIS-K propaganda magazine) মতে, ২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরে আমেরিকান সেনা সদস্য এবং আফগানদের উপর ওই আত্মঘাতী হামলা চালানো সন্ত্রাসবাদীকে পাঁচ বছর আগেও ভারতে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাও খোদ রাজধানী দিল্লি থেকে।

সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি দাবি করেছে যে আবদুর রহমান আল-লোগরি নামের ওই জঙ্গি ২০১৬ সালে দিল্লি থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন। সেসময় আল-লোগরি দিল্লিতে একটি আত্মঘাতী হামলা চালানোর জন্যই এসেছিল বলে জানা গিয়েছে।

 

আরও পড়ুন আবদুল গণি বরাদার: তালিবান নেতা থেকে বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি

Advertisements

অন্যদিকে কাবুল বিমানবন্দরের আইএসআইএস-খোরাসান (ISIS-K) জঙ্গিগোষ্ঠীর আত্মঘাতী হামলার পরেই প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল আমেরিকা। ‘সন্ত্রাসবাদীদের খুঁজে বের করে মারব’, জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তারপরেই আফগানিস্তানে অবস্থিত আইএসআইএস-খোরাসান জঙ্গিগোষ্ঠীর ঘাঁটিতে হামলা চালায় আমেরিকা। 

হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৬৯ জন নিহত হন।  মৃতদের বেশিরভাগই সাধারণ আফগানি। যারা তালিবান শাসিত দেশ ছেড়ে পালাতে চাইছিলেন বিদেশে।

আরও পড়ুন পেনসিলভেনিয়ার বিলবোর্ডে তালিবানযোদ্ধা বাইডেন, আফগান-সমস্যার সমালোচনার মুখে প্রেসিডেন্ট

পাকিস্তানের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, তালিবানের পাশে পাকিস্তান যেভাবে দাঁড়িয়েছে তাতে আফগানিস্তানের তালিবান নেতৃত্ব খুব খুশি। তার প্রতিদানেই কাশ্মীর দখলে পাকিস্তানকে সাহায্য করবে তারা। কয়েকদিন আগেও ইসলামাবাদের প্রভাবশালী সংগঠন জমিয়ত-ই-উলেমা-ই-ইসলাম ও দিফা-ই-পাকিস্তান কাউন্সিল-এর প্রধান মৌলানা হামিদ-উল-হক হাক্কানি তালিবানের কাবুল জয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন। তালিবান ও লস্করের জঙ্গিদের জন্য চাঁদা সংগ্রহ করতেও দেখা গিয়েছিল সেদেশের বিভিন্ন সংগঠনগুলিকে।

আরও পড়ুন Afghanistan: ফতোয়ার কারণে ছাত্রী নেই, খুলেছে তালিবান শাসিত আফগান বিদ্যালয়

জমিয়ত-ই-উলেমা-ই-ইসলাম ও দিফা-ই-পাকিস্তান কাউন্সিল-এর প্রধান মৌলানা হামিদ সাংবাদিক সন্মেলনে জানিয়েছিলেনন, ‘বিশ্বের উচিত আফগানিস্তানে এক্ষুনি তালিবান সরকারকে মান্যতা দেওয়া।’ শুধু তাই নয়, আমেরিকা এবং ভারতের মদতেই এতদিন আফগানিস্তানে অশান্তি লেগে ছিল। এবার ইমরান খানের দলের নেত্রীর মুখেও একই সুর শোনায় আবার নতুন করে ভারতে জঙ্গিহামলার আশঙ্কা বেড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার এই ঘটনা সামনে আসায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত অফিসারদের কপালে। যদিও বেশ কয়েকদিন আগেই ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত জানিয়েছিলেন, “আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম কিভাবে আফগানিস্তান থেকে সন্ত্রাসবাদীরা ভারতে ঢুকতে পারে। এর জন্য আমাদের কন্টিনজেন্সি প্ল্যানিং চলছিল। এখন আমরা এর জন্য প্রস্তুত।”