আফগানিস্তানে জন্ম (Farhad Khan) ফরহাদ খানের। তিনি বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের অনুকরণ করেন। এমন অনুকরণ করে ফরহাদ প্রশংসা কুড়োচ্ছেন পাকিস্তানে। তবুও আফগানিস্তান-পাকিস্তান, এই দুই দেশের কোথাও তার জীবন নিশ্চিত নয়। কেন? কীসের বাঁধা? নিজের মুখেই সংশয়ের কথা সংবাদমাধ্যমকে বললেন ফরহাদ খান।
শাহরুখ খানের ছদ্মবেশ নিয়ে অভিনয় করা ফরহাদ খান ভয় পান পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ তাকে আফগানিস্তানে ফেরত পাঠাবে। আফগানিস্তানী নগরিক ফরহাদ খান বলেন, “আফগানিস্তান কোনও বিনোদন শিল্প নেই, বন্ধ হয়ে গেছে। তারা রোমান্টিক, অ্যাকশনধর্মী ছবির অনুমতি দেয় না। নারী অভিনেতাদের নিয়ে ছবি তারা করতে দেয়না। নারী ছাড়া কোনও ছবি হয় না। কোনও গল্পই নারী ছাড়া সম্পূর্ণ নয়। আমি সেখানে কী করব।“
তালিবান জঙ্গিদের সরকার আফগানিস্তানে অভিনেতাদের নিষিদ্ধ নতুন নীতি গ্রহণ করেছে পাকিস্তান, যার ফলে ফরহাদ বিপদে পড়েছেন। তিনি বলেছেন, “আজকাল পুলিশ আমাদের অনেক হয়রানি করে। বাড়িতে হানা দেয়, তুলে নিয়ে গিয়ে থানায় নিয়ে যায়। ঘুস চায়। আমি তাদের দুবার টাকা দিয়েছি। আফগানিস্তান আমার প্রথম বাড়ি, পাকিস্তান দ্বিতীয়। দুটো দেশকেই আমি ভালবাসি।“
শাহরুখ খানকে নকল করে নাম কামিয়েছেন ফরহাদ। তিনি বলেছেন “আমি বিয়ের অনুষ্ঠানে শাহরুখের নকল করতাম। আমার বন্ধুরা মজা পেত। তারা বলত, খুব ভালো করছি। আমি অভিনয় শিখেছি, শাহরুখ খানের সিনেমা দেখে নাচও শিখেছি। আমি তার ছবি দেখে দেখে অভিনয় ও নাচ করতাম।“ পাকিস্তানি ও আফগান ছবিতে অভিনয়ের সুযোগও পান ফরহাদ। “আমি পাকিস্তানে দুটি ছবিতে অভিনয় করেছি, কমান্ডো ও মর জাওয়ান, যেটি ভারতীয় একটি ছবির অনুকরণ ছিল।“
কিন্তু ২০২১ সালে তালিবান ক্ষমতায় এলে ফরহাদের জীবন পাল্টে যায়। “দু’বছর আগে আফগানিস্তানে যখন গণতন্ত্র ছিল, তখন অনেক আয় করতাম। আমার জীবন ভালো ছিল, আয় ভালো ছিল। সরকার বদলালে আফগানিস্তানের বিনোদল শিল্প বন্ধ হয়ে যায়, আমার আয় শূন্য হয়ে পড়ে।
পাকিস্তানে ফিরে যেতে হয় ফরহাদকে। কিন্তু তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। তিনি বলেছেন “আফগানিস্তানে আমি নিরাপদ নই। বিশ্বাস করুন, আমি তালিবান নিয়ে কিছু বলিনি, তাও আমি অনিরাপদ। কী করব? পাকিস্তান থেকে বের করলে আমি জানি আমার জীবন ঝুঁকির মুখে পড়বে, শতভাগ।“