CPIM: জয়নগরের সংঘর্ষ কবলিত দলুয়াখাকিতে কান্তি-সুজনদের ঘিরে ফের উত্তেজনা

আদালতের নির্দেশে পুলিশের পাহারায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার দলুয়াখাকি গ্রামে গেলেন বাম প্রতিনিধিরা। CPIM সমর্থক অধ্যুষিত এই এলাকায় ব্যাপক হামলায় অভিযুক্ত তৃ়ণমূল কংগ্রেস। জয়নগরের বামনগাছিতে তৃণমূল…

আদালতের নির্দেশে পুলিশের পাহারায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার দলুয়াখাকি গ্রামে গেলেন বাম প্রতিনিধিরা। CPIM সমর্থক অধ্যুষিত এই এলাকায় ব্যাপক হামলায় অভিযুক্ত তৃ়ণমূল কংগ্রেস। জয়নগরের বামনগাছিতে তৃণমূল নেতাকে গুলি করে খুনের রেশ ধরে দলুয়াখাকিতে হামলা হয়েছিল। বহু বাম সমর্থক এলাকাছাড়া হয়। সেখানে ঢুকতে গিয়ে আগে বারবার পুলিশি বাধায় পড়েছিলেন বাম প্রতিনিধিরা। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে তারা ফের গেলেন। এই দলে আছেন প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলি, সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুজন চক্রবর্তী, শমীক লাহিড়ি ও বাম আইনজীবী নেতা সায়ন চক্রবর্তী।

দলুয়াখাকিতে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে  গ্রামের ঢোকার আগেই তাদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বাম প্রতিনিধিদের সাথে ফের শুরু হয় বিবাদ। আতঙ্ক এখনও কাটেনি দলুয়াখাকি গ্রামে। আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে গ্রামবাসীদের। কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে দলুয়াখাকি গ্রামে সিপিআইএমের প্রতিনিধি দল পৌঁছায়। প্রতিনিধি দল গ্রামে ঢুকতেই তৃণমূলের অভিযোগ তারা খুনিদের ত্রাণ দিতে এসেছেন।

সিপিআইএম নেতা কান্তি গাঙ্গুলী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “সংবিধানে যে গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো দেওয়া আছে পুলিশ প্রশাসন এগুলিতেও বাধা দিয়েছে আমরা বলেছিলাম একজন দুজন যাব, সেটাও বাধা দিয়েছে। তাই আমরা এবার কোর্টের পারমিশন নিয়ে এসেছি।”

গ্রামে ঢোকার পরই সামনে জমায়েত করে রয়েছে তৃণমূল সেখান থেকে বারংবার হুশিয়ারি দিচ্ছে বলে অভিযোগ। সুজন চক্রবর্তী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “যত বাধাই থাকুক আমরা যাব বলেই এসেছি আজ। হাইকোর্টের পারমিশনের চেয়েও বড় কথা হচ্ছে আমরা বিপন্ন মানুষের পাশে যাব,আক্রান্ত মানুষদের পাশে যাব, রিলিফ দেব। সরকার কিছু করছে না ব্যর্থ আমরা রিলিফের ম্যাটেরিয়াল নিয়েই যাচ্ছি।”

শমীক লাহিড়ী বলছেন, নিরাপত্তার কথা পুলিশ বুঝবে। আমাদের কাছে হাইকোর্টের অর্ডার আছে। সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা বাড়ি ঘর জানিয়ে দিয়েছে আমরা তাদের কাছে যাচ্ছি। বাকি পুলিশ দেখবে তৃণমূলের পক্ষপাতিত্ব করবে নাকি আমাদের নিরাপত্তা দেবে।