শিল্পের পেশাদারিত্বের অভাব নিয়ে নিয়ে কী বললেন ঋদ্ধি?

সম্প্রতি সোশাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট করেছেন অভিনেতা ঋদ্ধি সেন (Riddhi Sen)। সেখানে কিছু ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেতা। এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে কৌশিক সেনের ‘স্বপ্নসন্ধানী’ (Swapnasandhani)…

Riddhi Sen

সম্প্রতি সোশাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট করেছেন অভিনেতা ঋদ্ধি সেন (Riddhi Sen)। সেখানে কিছু ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেতা। এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে কৌশিক সেনের ‘স্বপ্নসন্ধানী’ (Swapnasandhani) নাট্যদলকে। ছবিতে ঋদ্ধি ছাড়াও রয়েছেন কৌশিক সেন, রেশমি সেন ও সুরঙ্গনা মুখোপাধ্যায়র মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ।

ঋদ্ধি জানিয়েছেন যে কলম্বাসের নাট্যদল স্পটলাইটের (Spotlight) সঙ্গে সহযোগিতায় (collaboration) একটি নাটকে কাজ করেছে কৌশিক সেনের ‘স্বপ্নসন্ধানী’ (Swapnasandhani) নাট্যদল। সেই নাটকে কাজ করতে গিয়ে পেশাদারিত্বের আসল মানে বুঝেছেন তিনি।ঋদ্ধি পোস্টের শুরুতে লিখেছেন যে ‘পেশাদারি’ শব্দটি শিল্পের ক্ষেত্রে অপরিহার্য হলেও এর ক্ষেত্রে কিছু সীমারেখা তৈরী হয়েছে। এর কারণ এই মুহূর্তে থিয়েটার বা সিনেমার সংগঠনের ওপর নির্ভর হয়ে পড়া। অভিনেতা মনে করেছেন যে এর ফলেই কমে যাচ্ছে পেশাদারিত্বের প্রভাব এবং তৈরী হচ্ছে নানান জটিলতা। ।

   

Team Swapnasandhani

এর পরে পোস্টে ঋদ্ধি লিখেছেন শিল্পের পেশাদারিত্বের (Professionalism) অভাবের কারণগুলির মধ্যে প্রধান কারণ, “দুর্নীতিগ্রস্ত অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি”। অভিনেতা (Riddhi Sen) অভিযোগ করেছেন যে সংস্কৃতির জগতে রয়েছেন অনেক আত্মকেন্দ্রিক ব্যক্তি। এই ব্যক্তিরা ভুলে গেছেন শিল্পচর্চার ক্ষেত্রে সংগঠনের মূল অর্থ । ঋদ্ধি জানিয়েছেন যে শিল্পচর্চার ক্ষেত্রে সংগঠনের মূল অর্থ শুধুই ঐক্যবদ্ধতা নয়, বরং , নানান মতকে স্বাগত জানানো বা মতের পার্থক্যকে সম্মান করা। এখন,উল্টোটাই করছেন সংগঠনের সদস্যরা।

ভিকি কৌশলের অনুপ্রেরণায়, নতুন ফটোশুটে নজর কাড়লেন শ্রাবন্তী! দেখুন ছবিতে

এর পরে পোস্টে অভিনেতা (Riddhi Sen) অভিযোগ করেন যে এককালে যে থিয়েটার বা সিনেমা ছিল প্রতিবাদের মূল অস্ত্র, সেটাই এখন পরিণত হয়েছে সারা দেশের শাসকশ্রেণীর মুখপাত্রতে । এর ফলে তিনি জন্ম নিয়েছে কর্পোরেট পেশাদারি। অভিনেতা যোগ করেছেন যে কর্পোরেট পেশাদারির ফলে সিনের শেষে যে ধরণের শিল্পকলা তৈরী হচ্ছে তা শুধুই ‘পণ্য’ এবং তাতে রয়েছে হাস্যরসের অভাব যা এক কালে ছিল থিয়েটারের প্রাণকেন্দ্র। অভিনেতা জানিয়েছেন যে আজকাল তৈরী বেশিরভাগ শিল্পকলায় কোনও ব্যক্তিগত অনুভূতি থাকে না, যা তাঁর মতে ‘দোআঁশলা পেশাদারিত্বের’ পরিনাম।

পোস্টের শেষের দিকে ঋদ্ধি লিখেছেন যে সংগঠন আর পেশাদারিত্বের অভাবে ভুগছে শিল্পচর্চা। তবে এর মাঝে তিনি এমন একটি নাটকে কাজ করেছেন যেখানে তিনি মন খুলে অভিনয় করতে পেরেছেন। এখানেই তিনি উল্লেখ করেছেন কলম্বাসের নাট্যদল স্পটলাইটের একটি নাটকে কাজ করার অভিজ্ঞতা। অভিনেতা জানিয়েছেন যে এই নাটকটিতে কাজ করার সময় পেশাদারিত্বের আসল অর্থ বুঝেছেন তিনি। থিয়েটার যে এখনও প্রতিবাদের একটি মঞ্চ হতে পারে সেটাও বুঝেছেন তিনি।

বিগত কুড়ি বছর ধরে নাটকের সঙ্গে যুক্তি আছেন ঋদ্ধি। হতাশার মাঝে সেই পুরোনো পরিবেশ ফিরে পেয়ে খুশি তিনি। কলম্বাসের নাট্যদল স্পটলাইটের সঙ্গে কাজ করতে পেরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। স্পটলাইটের নাটকের ভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়ে নাটকের কিছু ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি।