পঞ্জশিরের পর জালালাবাদ, বাড়ছে তালিবানদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের সুর

নিউজ ডেস্ক: কাবুলসহ আফগানিস্তানের অধিকাংশ এলাকা তালিবানদের দখলে৷ দেশে তালিবানিরাজ কায়েম করেছে৷ তাসত্বেও এখনও এমন অনেক এলাকা আছে, যেখানে মানুষ এই ভয়ঙ্কর জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে…

নিউজ ডেস্ক: কাবুলসহ আফগানিস্তানের অধিকাংশ এলাকা তালিবানদের দখলে৷ দেশে তালিবানিরাজ কায়েম করেছে৷ তাসত্বেও এখনও এমন অনেক এলাকা আছে, যেখানে মানুষ এই ভয়ঙ্কর জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পতাকা তুলছে। তার মধ্যে অন্যতম হল নর্দান অ্যালায়েন্সের প্রাক্তন কমান্ডার আহমেদ শাহ মাসুদের শক্ত ঘাঁটি পঞ্জশির উপত্যকা।

আরও পড়ুন পঞ্জশির: আফগান এই উপত্যকা এখনও তালিবানরা দখল করতে পারেনি

   

এবার তালিবানের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত জালালাবাদেও শোনা গেল প্রতিরোধের সুর। আর সেই প্রতিরোধের মুখ হয়ে উঠলেন মহিলারা। একসময় নিজেদের হাতে থাকা জালালাবাদে বুধবার সকালেই প্রতিরোধের মুখে পড়ে তালিবান। আফগানিস্তানের জাতীয় পতাকা হাতে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নামে সাধারণ মানুষ।

At least 3 killed in protest against Taliban in Jalalabad

জুলাই মাসের শুরুতে যখন তালিবান আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে আক্রমণ শুরু করে, তখন তারা প্রতিরোধ ছাড়াই অনেক জায়গা জিতে নেয়। বলা হচ্ছে, আফগান ন্যাশনাল আর্মির সৈন্যদের মধ্যে খবর ছড়িয়েছিল যে, শীর্ষ সামরিক কমান্ডাররা তালিবানদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। যোগাযোগের অভাব এবং অস্ত্রের অভাবও সৈন্যদের বিশ্বাস করতে বাধ্য করেছিল। এই কারণে আফগান সেনাবাহিনীর জওয়ানরা অনেক এলাকায় একটিও গুলি খরচ না করে তালিবানদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু পঞ্জশিরের পর জালালাবাদেও প্রতিরোধের মুখে পড়ল তালিবানরা। যদিও সেনাবাহিনী নয়, প্রতিরোধ গড়ে তুলছেন সাধারণ মানুষরাই।

তালিবান বিরোধী এই গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন সদ্য-প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির ‘ডেপুটি’ আমরুল্লা সালেহ। তিনি বুধবারই ঘোষণা করেছেন, যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। তিনি টুইট করে বলেন, আমি কোনও অবস্থাতেই তালিবান জঙ্গিদের কাছে মাথা নত করব না। আমি কখনই আমাদের নায়ক কমান্ডার, কিংবদন্তি এবং গাইডের আহমেদ শাহ মাসুদের চেতনা এবং উত্তরাধিকারকে বিশ্বাসঘাতকতা করব না। আমার কথা শোনার লক্ষ লক্ষ মানুষকে আমি হতাশ করব না। আমি কখনই তালিবানদের সঙ্গে এক ছাদের নিচে থাকব না। কখনও না।

উত্তর-মধ্য আফগানিস্তানের এই এলাকা দিয়েই কাবুল থেকে মাজার-শরিফের পথ গিয়েছে। বিরোধী জোটের এই প্রত্যাঘাতের ফলে দেশের উত্তরাঞ্চলে তালিবানের অবস্থান কিছুটা নড়বড়ে হয়ে গেল বলেই কূটনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন। বিশেষ করে জালালাবাদকে এতদিন তালিবানদের শক্ত ঘাঁটি বলে দাবি করা হচ্ছিল। ক্ষমতা দখলের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সেখানে বিক্ষোভের মুখে তালিবানরা।