Parambrata: রাজনীতিতে ব্যাপক অনীহা, বন্ধুদের রাজনীতি প্রসঙ্গে বিস্ফোরক পরম

Parambrata: লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, দলবদলের প্রবণতাও বলছেম শাসকদলগুলির মধ্যে ব্যপক ট্রেন্ড এখন দলবদলু বিষয়টি। এবার এই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। রাজনীতিতে আসবেন…

Param

Parambrata: লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, দলবদলের প্রবণতাও বলছেম শাসকদলগুলির মধ্যে ব্যপক ট্রেন্ড এখন দলবদলু বিষয়টি। এবার এই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। রাজনীতিতে আসবেন কিনা জিজ্ঞাসা করতেই বিস্ফোরক নব বিবাহিত পরম। বললেন, ‘ছোটবেলায় আমরাও মানুষকে দলবদল করতে দেখেছি। তার মধ্যে একটা সময়জ্ঞান বা সভ্যতার চিহ্ন থাকত। কিন্তু এখন বিষয়টা ইনস্ট্যান্ট নুডলস্‌-এর মতো হয়ে গিয়েছে! ইনস্ট্যান্ট দলবদল। দেশের রাজনীতি একটা বড় সার্কাস। মঞ্চে সার্কাস দেখলে তা-ও মজা পাই, এটা দেখে বিরক্তি তৈরি হয়।’

রাজনীতিতে কি কখনও আসতে চান পরম। সপাটে উত্তর দিয়ে বললেন, ‘আমার কোনও আগ্রহ নেই। কারণ, দেশের রাজনীতিতে এখন বিরক্তি এবং রাগ উদ্রেককারী পরিস্থিতি। যেখানে এই মুহূর্তে ডান, বাম বা মধ্য কেউই কোনও ভাবনা বা চিন্তা বা কোনও আদর্শ থেকে আর রাজনীতি করেন না। আমার মনে হয়, দেশের রাজনীতিকরা চান যে তরুণ প্রজন্মের যেন তাঁদের দেখে একটা বিরক্তি তৈরি হয়। যাতে তারা আরও বেশি করে রাজনীতি থেকে দূরে সরে যায়। এই বিরক্তি ও রাগটা মনে হয় তাঁদের যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য আমাদের যুব সমাজের মনে বাঁচিয়ে রাখা উচিত।’

রাজনীতি নিয়ে যখন এতটাই অনীহা পরমের মধ্যে কাজ করছে, তাহলে তিনি কি কোনও রাজনীতিবিদ বন্ধুও রাখবেন না! কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই তো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাহলর কি তাঁদের সঙ্গে কাজও করবেন না নাকি! তারই উত্তরে এদিন ফের একটা সপাটে জবাব ছুঁড়ে অভিনেতা বলে বসলেন, ‘বন্ধু’ শব্দটার অর্থ অনেক বড়। কোনও সময়ে তিনি অতি দক্ষিণপন্থী রাজনীতি করলে, আমার কতটা বন্ধু থাকবেন, সেটা বলতে পারছি না। কিন্তু সহকর্মী হিসেবে কাজ করতে কোনও সমস্যা হবে না।’