বাঘের ঘরে ঘোগ! মার্শাল দোস্তামের ঘরে বৈঠকি আড্ডায় তালিবান

নিউজ ডেস্ক, কাবুল: এ যেন বাঘের ঘরে ঘোগ ঢুকল! আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি একটি ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সোভিয়েত জমানার আফগান সেনানায়ক মার্শাল…

afghan marshal dostum captured by taliban militant

নিউজ ডেস্ক, কাবুল: এ যেন বাঘের ঘরে ঘোগ ঢুকল! আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি একটি ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সোভিয়েত জমানার আফগান সেনানায়ক মার্শাল আবদুল রশিদ দোস্তামের ঘরে বৈঠকি আড্ডায় মশগুল তালিবান জঙ্গিরা। মার্শাল দোস্তাম এখনও নিখোঁজ। ধারণা করা হচ্ছে তিনি ফের তালিবান বিরোধী গেরিলা অভিযান শুরু করবেন।

এএফপি জানাচ্ছে, তালিবানের চিরশত্রু আব্দুল রশিদ দোস্তামের বিলাসবহুল অট্টালিকা এখন বেদখল। কাবুলের নিকটে শেরপুরে এই প্রাসাদে মাঝে মধ্যেই আড্ডা মারছে তালিবান নেতারা।  আব্দুল রশিদ দোস্তাম প্রবল তালিবান বিরোধী নেতা হিসেবে পরিচিত। আফগানিস্তানের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট তিনি। তাঁকে যুদ্ধবাজ নেতা (ওয়ারলর্ড) হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়।

marshal dostum

আল জাজিরার খবর, ২০০১ সালে দোস্তামের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার তালিবান জঙ্গিকে খুনের অভিযোগ আনা হয়। তবে সেই অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। ২০১৯ সালে তালিবানের হামলা থেকে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান তিনি। আবদুল রশিদ দোস্তাম আফগানিস্তানের অন্যতম সেনানায়ক। সর্বশেষ তিনি মাজার ই শরিফের প্রশাসক হিসেবে তালিবান জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়ছিলেন। তবে গত ১৫ আগস্ট জঙ্গিরা দ্বিতীয়বার কাবুলের দখল নেয়। বৃদ্ধ সেনানায়ক দোস্তাম কৌশলে আফগানিস্তানের সীমান্ত পেরিয়ে অজানা গন্তব্যে চলে যান।

afghan marshal dostum captured by taliban militant

দোস্তাম হলেন তালিবানের গলার দুটি কাঁটার একটি। অপর জন ছিলেন তাঁর বন্ধু পঞ্জশিরের নায়ক আহমেদ শাহ মাসুদ। গত তালিবান জমানায় দোস্তাম ও মাসুদ বারবার হামলা করে তালিবানকে ব্যাতিব্যস্ত করেছিলেন। পরে আমেরিকান সেনা ২০০১ সালে তালিবান সরকারকে উৎখাত করে কাবুল দখল করে। তার আগেই নাশকতায় মারা যান পঞ্জশিরের সিংহ আহমেদ শাহ মাসুদ। এই মাসুদের পুত্র জুনিয়র মাসুদ এখন তালিবান বিরোধী লড়াই চালাচ্ছেন।
গত কুড়ি বছর দোস্তামের নিয়ন্ত্রণে ছিল আফগানিস্তানের অন্যতম এলাকা মাজার ই শরিফ। আর সেনা নায়ক দোস্তাম মাঝে মধ্যে থাকতেন কাবুলের কাছে শেরপুরের অট্টালিকায়। সম্প্রতি তিনি আফগানিস্তান ছেড়ে প্রতিবেশি তাজিকিস্তান বা উজবেকিস্তানে চলে গিয়েছেন বলে গুঞ্জন।