ব্যাঙ্কের চাকরি হারিয়েছিলেন, এখন ১০০ কোটির মালিক পরিণীতি

একসময় তিনি ব্যাঙ্কের চাকরি হারিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় মন্দার কারণে লন্ডন থেকে চাকরির প্রত্যাশা ফেলে ভারতে চলে আসেন। সেই তিনি কিনা হয়ে গেছেন ১০০ কোটির…

একসময় তিনি ব্যাঙ্কের চাকরি হারিয়েছিলেন। শুধু তাই নয় মন্দার কারণে লন্ডন থেকে চাকরির প্রত্যাশা ফেলে ভারতে চলে আসেন। সেই তিনি কিনা হয়ে গেছেন ১০০ কোটির সম্পত্তির মালিক। আর কেউ নয় কথা হচ্ছে বলিউডের লাস্যময়ী অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার কথা‌। সম্প্রতি যিনি বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। নানা ধরনের কাজ করেছেন পরিণীতি। থেমেছেন অভিনয়ে এসে। যার ২০১১ সালে বলিউডে অভিষেকের পর এই অভিনেত্রী চলচ্চিত্রের সঙ্গেই যুক্ত আছেন।

১৯৮৮ সালে ২২ শে অক্টোবর ভারতের হারিয়ানার আম্বানা শহরে জন্ম হয় পরিণীতির। ব্যবসায়ী প্রশাসনে স্নাতক শেষ করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। সেখানে ম্যাঞ্চেস্টার বিসনেজ স্কুলে পড়াশোনা শেষে ফিরে আসেন ভারতে। দেশে ফিরে একটি ব্যাঙ্কে চাকরি নেন পরিণীতি। জানা যায়, কিছুদিন পরেই সেই চাকরি হারিয়ে ফেলেন তিনি। তারপর কাজ করেন যশরাজ ফিল্মসের জনসংযোগ বিভাগে। এই প্রযোজনা সংস্থায় কাজের সুবাদে তিনি অনুষ্কা শর্মা, রানী মুখার্জির মতো নায়িকাদের জনসংযোগ ‌কর্তা হিসেবেও কাজ করেন। এরপর ২০১১ সালে “Ladies vs Ricky BHAL” অভিনেত্রী হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। তবে এই সিনেমায় নায়ক নায়িকা ছিলেন রনবীর সিং ও অনুষ্কা শর্মা। পরিণীতি ছিলেন পার্শ্ব চরিত্রে।

পরবর্তীতে গত এক যুগে তিনি “ইসকজাদে”, “সুদ”,”সন্দীপ” সহ নানা সিনেমায় অভিনয় করেন। পরিণীতির বেশ কিছু সিনেমা বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছেন। সেই সাথে কিছু ছবিতে তার অভিনয় পেয়েছে সমালোচকদের প্রশংসা। বর্তমানে এই নায়িকা হিন্দি সিনেমায় প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী। ভারতীয় সংবাদের দেওয়া তথ্য মতে, তার মোট সম্পর্কের পরিমাণ ৭৫ কোটি সম পরিমাণ বাংলাদেশী মূল্যে যা ১০০ কোটি টাকা।

প্রসঙ্গত, গত মাসে রাজনীতিবিদ রাঘব চাড্ডার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন পরিণীতি। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে হয়েছে বিবাহ। নিজেদের বিয়ের ছবি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন রাঘব-পরিণীতি। ভক্তরা ভালোবাসায় ভরিয়ে তোলেন সেই পোস্ট। নিজের বিয়ের ওড়নায় স্বামীর নাম লেখেন। প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও তার বিয়েতে‌ স্বামীর নাম লেখা ওড়না পড়েছিলেন। জ্যামিতিক নকশা পছন্দ পরিণীতির‌। তাই বিয়ের লেহেঙ্গায় এমব্রয়ডারি ছিল জ্যামিতিক নকশায় ভরা। এই লেহেঙ্গা বানাতে সময় লেগেছিল আড়াই হাজার ঘন্টা। বিয়ের অনুষ্ঠানে মনীশ মালহোত্রাকেই ভরসা করেছিলেন এই জুটি।