লালফৌজের স্বার্থে ভারত সামীন্তে ৩০ নতুন বিমান বন্দর গড়ছে বেজিং

নিউজ ডেস্ক: ভারত সংলগ্ন এলাকায় তার চিনের সেনাবাহিনীর (পিএলএ) চলাচলে গতি আনতে করতে ৩০টি নতুন বিমানবন্দর (airports) নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বেজিং৷ চিনের সরকারী সংবাদপত্র অনুসারে,…

army-china-air-force

নিউজ ডেস্ক: ভারত সংলগ্ন এলাকায় তার চিনের সেনাবাহিনীর (পিএলএ) চলাচলে গতি আনতে করতে ৩০টি নতুন বিমানবন্দর (airports) নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বেজিং৷ চিনের সরকারী সংবাদপত্র অনুসারে, ভারতের সংলগ্ন জিনজিয়াং এবং তিব্বত এলাকায় সেনাবাহিনীর ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডকে সুবিধা প্রদানের জন্য ৩০টি বিমানবন্দর তৈরি করা হবে৷ যাতে সেনা জওয়ানদের চলাচলে কোনও সমস্যা না হয়।

ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড চিনা সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় সামরিক কমান্ড। এই কমান্ড ভারতের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় যুক্ত৷ ইতিমধ্যেই কিছু বিমানবন্দর নির্মিত হয়েছে এবং সীমান্ত এলাকায় কাজ করছে৷ আবার কিছু শীঘ্রই তৈরি হওয়ার জন্য প্রস্তুত। তার মধ্যে তিনটি বিমানবন্দর হবে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে। আরেকটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর ২০২২ সালে চালু হবে। তাশকুরগান নামের এই বিমানবন্দরটি জিনজিয়াংয়ে। এই বিমানবন্দরটি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর এবং আফগানিস্তানের কাছাকাছি হবে। এটি চিনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।

গত দেড় বছর ধরে ভারত ও চিনের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার বিরোধের স্থলভাগে প্রস্তাব দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। কিন্তু এর গতি কিছুটা ধীর ছিল। এর সবচেয়ে বড় কারণ হল, ভারতীয় সেনাবাহিনী চিনা সেনাবাহিনীকে বিশ্বাস করে না। কারণ চিন আলোচনার টেবিলে এক কথা বলে এবং তারপর অন্য কিছু করে। তাই ড্রাগনের প্রতিটি পদক্ষেপ বুঝতে পেরে ভারত প্রতিটি পদক্ষেপ খুব চিন্তাভাবনা করে

এদিকে, ভারত LAC থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে কিন্তু খুব যত্ন সহকারে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, চিন মনে করে যদি তারা তাদের সেনা প্রত্যাহার করে নেয় এবং ভারত সেনা প্রত্যাহার না করে, তাহলে তাদের জন্য সমস্যা হতে পারে। যদিও বিশ্ববাসী জানে, ভারত কখনও অন্যের জমির দিকে ভুলেও দৃষ্টিপাত করে না৷ কখনও তার জমি অন্যের হাতে চলেও যেতে দেয় না।