ওপারে বাড়ি জ্বলছে, রাস্তায় মৃতদেহ বর্মী সেনার ভয়ে হাজার হাজার শরণার্থী মিজোরামে

168
Myanmar Democratic force versus military clashes
Advertisements

নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের দিকে যাচ্ছে মায়ানমার। দেশটির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত, প্রধান নেত্রী আউং সান সু কি-কে বন্দি করার প্রতিবাদে বর্মী সেনার বিরুদ্ধে সংঘর্ষে নেমেছে গণতন্ত্রী মিলিশিয়া বাহিনী। দু তরফের সংঘর্ষে রক্তাক্ত মায়ানমারের চিন প্রদেশ।

বর্মী সেনার অভিযানে ঠিক কতজনের মৃত্যু তার হিসেব নেই। তবে প্রানভয়ে মায়ানমারের দিক থেকে ভারতে ঢুকে পড়া হাজার হাজার বর্মীর একটাই কথা, বাড়ি জ্বলছে রাস্তায় পড়ে বহু দেহ। বিবিসি, গার্ডিয়ানের এমন খবর।

Advertisements

মিজোরাম সরকার চিন্তিত। আইজলের সংবাদমাধ্যমের খবর, ভীত বর্মীরা মায়ানমারে চিন প্রদেশের বাসিন্দা। এই এলাকাটি আন্তর্জাতিক সীমান্তের মিজেরাম রাজ্য ঘেঁষা। ফলে হাজার হাজার বর্মীরা এখন মিজোরামের মাটিতে শরণার্থী। মিজোরাম সরকার কড়া চোখে রাখলেও পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। এদের মধ্যে অন্তত সাড়ে পাঁচ হাজার বর্মী নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মিজোরামে ঢুকে পড়েছেন।

Advertisements

মায়ানমারের চিন প্রদেশের থান্টলাং এলাকায় বার্মি সেনা ও সেদেশের গণতন্ত্রপন্থি মিলিশিয়াদের সংঘর্ষ চলছেই। গার্ডিয়ান জানাচ্ছে, বর্মী সেনার বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণে যাচ্ছে মায়ানমারের দুর্গম এলাকায় সক্রিয় সরকার বিরোধী মিলিশিয়া চিন ডিফেন্স ফোর্স। তাদের দাবি, গত কয়েক দিনের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন মিলিশিয়া মৃত।

পরিস্থিতি সবথেকে খারাপ চিন প্রদেশের থান্টলাংয়ে। বার্মী সেনারা থান্টলাং এলাকা বারবার হামলা চলায়। এর পরেই ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরামে আসতে শুরু করেন স্থানীয় চিন জাতির বাসিন্দারা। এমনই জানাচ্ছে উত্তর পূর্বের সংবাদমাধ্যমগুলি।

মায়ানমারের জাতীয় নির্বাচনে ব্যাপক রিগিং করে জিতেছেন সু কি এমন অভিযোগ তুলে দেশটির সেনাবাহিনী রক্তপাতহীন অভ্যুত্থান ঘটিয়ে সরকারকে অপসারিত করে। চলতি বছর  ১ ফেব্রুয়ারি বন্দি করা হয় সু কি সহ সরকারের সবাইকে। সেনা শাসন শুরু হয়। মায়ানমারের ক্ষমতা এখন সেনা বাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের নিয়ন্ত্রণে। গণতন্ত্র ফেরাতে তীব্র আন্দোলনে এর পর থেকে রক্তাক্ত হচ্ছে মায়ানমার।

Advertisements