News Desk: একের পর এক প্রদেশে বিদ্রোহ। গণতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে বিদ্রোহী জনতা বনাম মায়ানমারের (Myanmar) সামরিক সরকারের সংঘাত তীব্র। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে ভারত ও থাইল্যান্ডের দিকে ঢুকছেন হাজার হাজার বর্মী জনতা।
মায়ানমারে রক্তাক্ত পরিস্থিতি শুরু গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। দেশটির নির্বাচিত আউং সান সু কি- এর সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেছেন সেনা প্রধান মিন অং হ্লাইং। তিনিই এখন সামরিক সরকারের প্রধান। সু কি বন্দি। আর গণতন্ত্র ফেরানোর সংগ্রামে সেনার গুলিতে হাজারের বেশি নিহত।
মাস খানেক ধরে রক্তাক্ত ভারত সীমান্ত লাগোয়া কাচিন (Kachin) ও চিন (Chin) প্রদেশে। একইভাবে রক্তাক্ত হচ্ছে থাইল্যান্ডের লাগোয়া মায়ানমারের কারেন প্রদেশও।
(১) ভারতের দিকে:
মায়াননারের পূর্ব দিকে কাচিন ও চিন প্রদেশের বিদ্রোহী চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স ও কাচিন আর্মি। এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে বর্মী সেনার। শতাধিক নিহত। জঙ্গল, নদী পেরিয়ে ভারতের দিকে মিজোরাম, নাগাল্যান্ডে ঢুকছেন বর্মীরা। দুই রাজ্য সরকার কড়া নজরে রেখেছে সীমান্ত এলাকা।
(২) থাইল্যান্ডের দিকে:
মায়ানমারে পশ্চিম ও দক্ষিণ অংশে আছে কারেন প্রদেশ। এখানে বর্মী সেনার বিরুদ্ধে সংঘাতে জড়িত কেএনএলএ গোষ্ঠী। সীমান্তবর্তী এই এলাকায় বর্মী সেনার অভিযানে বহু মানুষ নিহত। হাজারে হাজারে বর্মী প্রতিবেশি থাইল্যান্ডে ঢুকতে শুরু করেছেন। আশ্রয়প্রার্থীদের খাদ্য পৌঁছে দিতে থাই সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ চলছে কিছু এনজিও।
<
p style=”text-align: justify;”>বর্মী সেনা ও মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠিদের মধ্যে সংঘর্ষে দু তরফে বাড়ছে মৃত্যু। মায়ানমারে ফের ‘গণহত্যা চলছে’। এতে জড়িত সেনাবাহিনী। পলাতক বর্মীরা ভিনদেশে ঢুকে এমনই দাবি করছেন