নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর নির্দেশে দেবীপক্ষেই ত্রিপুরায় (Tripura) গঠিত হল তৃণমূল কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটি। আগরতলার রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন।
তৃ়ণমূল কংগ্রেস আগামী ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে নামছে। সেই লক্ষ্যে ত্রিপুরায় তৈরি হয়েছে দলটির যুব কমিটিও। ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কনভেনার বা আহ্বায়ক হয়েছেন সুবল ভৌমিক। তিনি কংগ্রেস ও বিজেপি ত্যাগী নেতা। আর টিএমসির যুব কমিটির কনভেনার হয়েছেন বাপ্টু চক্রবর্তী।
জানা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ইশারায় শাসক পক্ষের একাধিক বিজেপি বিধায়ক দলত্যাগ করবেন বলেই প্রস্তুত। ইতিমধ্যে বিজেপি ত্যাগের জন্য কালীঘাট মন্দিরে মস্তক মুন্ডন করে প্রায়শ্চিত্ত করেছেন সুরমা বিধানসভার বিধায়ক আশিস দাস। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাতৃশক্তি বলে তুলনা করেছেন। একইসাথে প্রধানমন্ত্রী মোদীর তীব্র সমালোচনা করেছেন।
সূত্রের খবর, উপনির্বাচনে মমতার জয় ঘোষণা হতেই ত্রিপুরায় শাসক বিজেপির বিদ্রোহী বিধায়করা দলত্যাগ শুরু করবেন বলে তৈরি হয়েছেন। এদের নেতৃত্বে রয়েছেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ।
সুদীপবাবু গত বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস ছেড়ে অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যান। সে রাজ্যে বিরোধী দল হয় টিএমসি। পরে তিনিই আবার অনুগামীদের নিয়ে বিজেপিতে যান। ভোটে সরকার পরিবর্তন হয়। বাম সরকারকে হারিয়ে বিজেপি জোট সরকার গড়ে।
পশ্চিমবঙ্গে তিনবার সরকার গড়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসকে পুনরায় শক্তিশালী করতে মরিয়া। ইতিমধ্যেই বিজেপিতে ভাঙন ধরছে। বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস কলকাতায় টিএমসি ভবনে এসে কথাবার্তা পাকা করেছেন বলেই সূত্রের খবর।