‘নিজেকে শেষ করে দিচ্ছি’, বাবাকে ফোন করেই বহুতল থেকে ঝাঁপ মডেলের

যোধপুর: আত্মঘাতী হতে চলেছেন। একথা বাবাকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। পুলিশের পৌঁছানোর আগেই যোধপুরের এক হোটেলের ছ’তলা থেকে ঝাঁপ দেন তিনি। গুনগুন পেশায়…

যোধপুর: আত্মঘাতী হতে চলেছেন। একথা বাবাকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। পুলিশের পৌঁছানোর আগেই যোধপুরের এক হোটেলের ছ’তলা থেকে ঝাঁপ দেন তিনি।

গুনগুন পেশায় একজন মডেল এবং তিনি যোধপুর শহরের বাসিন্দা। শনিবার রাতে উদয়পুর থেকে যোধপুরে ফেরেন তিনি। সেই রাতেই যোধপুরের হোটেল লর্ডস ইন থেকে ঝাঁপ দেয় সে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়ের কাছ থেকে ফোন পেয়ে গোটা ঘটনার কথা পুলিশকে জানান গুনগুনের বাবা। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই অঘটন ঘটিয়ে ফেলেছিলেন গুনগুন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। হাসপাতাল থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, গুনগুনের বুকে চোট রয়েছে। পায়ের হাড় ভেঙেছে। চিকিৎকরা জানিয়েছেন, তাঁর প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ার ফলে টানা রক্ত দিতে হচ্ছে।

কেনই বা হোটেলের বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন এই মডেল। তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে গুনগুনের বাড়ির লোকজন ও বন্ধুবান্ধবকে। গুনগুনের বাবা পুলিশকে জানিয়েছে, ঝাঁপ দেওয়ার আগে বার বার তাঁকে ফোন করেছিলেন গুনগুন। ফোনে গুনগুন বলেই যাচ্ছিলেন, ”বাবা আমি নিজেকে শেষ করে দিচ্ছি। আর বাঁচব না। আমার মৃত্যুর পর আমার মুখের দিকে তাকিয়ে থেকো তুমি।”তবে ঠিক কী কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গুনগুন, জ্ঞান ফিরলেই তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।