News Desk: অসুস্থ বেগম জিয়ার পরিবারের তরফে আবেদন ফের খারিজ করল শেখ হাসিনার সরকার।
বিএনপি নেত্রী ও বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার কোনও সুযোগ নেই। সংসদে এমনই মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। রক্ত দিতে হচ্ছে। বারবার তাঁকে হাসপাতালে আনতে হচ্ছে। পরিবারের দাবি, বিদেশে নিয়ে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা করানোর অনুমতি দিক সরকার।
৭৬ বছর বয়সী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আর্থ্রারাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর অসুস্থতার জন্য টানা ২৬ দিন হাসপাতালে ছিলেন। বাড়ি ফেরার ছয়দিনের ব্যবধানে খালেদা জিয়াকে আবার ঢাকায় বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সিসিইউ চিকিৎসাধীন তিনি।
বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী জানান, খালেদা জিয়ার পরিবারের তরফে এমন আবেদন আগেই নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। আর নতুন করে আবেদন গ্রহণ করার সুযোগ নেই। আইন সবার জন্য সমান। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিকতার কারণে উনি বাড়তি কিছু সুবিধা পাচ্ছেন। খালেদা জিয়ার আমলে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকে সঠিক হাসপাতালে পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়নি।
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যেতে সোমবার সরকারের কাছে ফের আবেদন করেন ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে চিঠি দিয়েছেন তিনি। বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়ার এখন বিদেশে চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসকরা এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জেলে যান। করোনা মহামারির কারণে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্তসাপেক্ষে তাঁকে সাময়িক মুক্তি দেয়। জেল থেকে মুক্তি পেলেও তাঁর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আদালত। তবে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের যুক্তি, সরকার চাইলে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে।