ঘানি-বাইডেন বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, বিস্ফোরক আফগান সেনাপ্রধান

নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ দু’দশক ধরে বিদেশী সেনাবাহিনীর সাহায্য পেয়েছে আফগানিস্তান সেনা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাটোর সাহায্য এবং প্রশিক্ষণই শুধু নয়, আমেরিকার থেকে পেয়েছিল প্রচুর অস্ত্র, যুদ্ধে…

নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ দু’দশক ধরে বিদেশী সেনাবাহিনীর সাহায্য পেয়েছে আফগানিস্তান সেনা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাটোর সাহায্য এবং প্রশিক্ষণই শুধু নয়, আমেরিকার থেকে পেয়েছিল প্রচুর অস্ত্র, যুদ্ধে ব্যবহৃত আধুনিক মানের গাড়ি প্রভৃতি। কয়েকদিন আগে পেন্টাগন জানিয়েছিল, আগামী তিনমাসের মধ্যেই কাবুল দখল করবে তালিবানরা। সে অনুমানকে নস্যাৎ করে কয়েকদিনেই গোটা আফগানিস্তানে আধিপত্য কায়েম করেছে তালিবান।

আরও পড়ুন তালিবানদের এত দ্রুত আফগানিস্তান দখলে আমরা অবাক, মন্তব্য বিপিন রাওয়াতের

   

আফগানিস্তান সেনা তাদের সামনে শুধু পিছুই হটেনি, রীতিমতো ধরাশায়ীও হয়েছে। গোটা দেশের একমাত্র পঞ্জশির, জালালাবাদ বাদে কোথাও প্রতিরোধ গড়ে ওঠেনি সেভাবে। তাও প্রতিরোধ এসেছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকেই। আফগান প্রেসিডেন্ট আসরাফ ঘানি দেশ ছেড়েছেন। ফলে প্রশ্ন উঠেছে এত প্রশিক্ষণ, টাকা খরচের পরেও আফগান সেনা কোনওরকম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারল না কেন ? অনেক বিশেষজ্ঞ ঈঙ্গিত দিয়েছিলেন ‘সাবোতাজ’ এরও। এবার দেশ দখল হওয়ার দশদিন পর মুখ খুললেন আফগানিস্তান সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল সামি সাদাত। কার্যত শীলমোহর দিলেন ‘সাবোতাজ’ এর অভিযোগেই।

Ghani discusses troop withdrawal decision with Biden | Ariana News

সামি সাদাত জানিয়েছেন, “দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং রাষ্ট্রপতিরা তাঁর সেনাবাহিনীকে ব্যর্থ করেছে। শুধু আসরাফ ঘানি নন, সাদাতের নিশানায় রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনও। দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে সাদাত লিখেছেন যে জো বাইডেনের তাড়াহুড়ো করে সেনা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত দেশের অবস্থা আরও খারাপ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট চুক্তি না মেনে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলেও অভিযোগ আফগান সেনাপ্রধানের।

আরও পড়ুন তালিবানদের সাহায্যেই কাশ্মীর দখলের স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান

সাদাত লিখেছেন, “যুদ্ধের শেষ দিনগুলো ছিল অকল্পনীয়। আমরা তালিবানদের বিরুদ্ধে গুলির লড়াইয়ে ব্যস্ত ছিলাম, আমেরিকান যুদ্ধবিমান আমাদের মাথার উপরে চক্কর দিচ্ছিল সরব দর্শকের মতো। আমেরিকার পাইলটরা আমাদের বলেছেন আমাদের দেখে তাদের খারাপ লাগলেও আমাদের সাহায্য করতে তাঁরা অক্ষম, রাষ্ট্রের নির্দেশ অমান্য করতে পারবেন না তাঁরা।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, “রাজনীতি এবং রাষ্ট্রপতিরা আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এটা শুধু আফগান-তালিবান যুদ্ধ ছিল না, একটি আন্তর্জাতিক যুদ্ধ ছিল, এতে অনেক দেশের সামরিক কর্মীরা জড়িত ছিল। ফলে একা আমাদের সেনাবাহিনীর পক্ষে তালবানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা অসম্ভব। এটা আমাদের সামরিক পরাজয় নয়, রাজনৈতিক ব্যর্থতা।”