Bangladesh: এই CCTV ফুটেজই ধরিয়ে দিল দুর্গামণ্ডপে কোরান ফেলে হামলার চক্রী ইকবালকে

নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপূজায় বাংলাদেশে (Bangladesh) পরপর হামলায় রক্তাক্ত পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার পিছনে রয়েছে কোরান শরিফ অবমাননার অভিযোগ। তদন্তে নেমে কুমিল্লার সেই পূজামণ্ডপে গিয়েই পুলিশ…

CCTV footage established main culprit of bangladesh communal violence

নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপূজায় বাংলাদেশে (Bangladesh) পরপর হামলায় রক্তাক্ত পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার পিছনে রয়েছে কোরান শরিফ অবমাননার অভিযোগ। তদন্তে নেমে কুমিল্লার সেই পূজামণ্ডপে গিয়েই পুলিশ বুঝতে পারে সবই সাজানো। বাংলাদেশ সরকার পুরো ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে চিহ্নিত করে।

কী সেই পরিকল্পনা? যার জেরে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের দুজনকে খুন হতে হয়েছে, পরপর মন্ডপ ও দোকান, বাড়ি লুঠ হয়েছে। অস্থির পরিবেশ দেখা দিয়েছে। কড়া হাতে হামলা থামাতে পুলিশে গুলি চালাতে হয়েছে। ৫ হামলাকারীর মৃত্যু হয়েছে।

CCTV footage established main culprit of bangladesh communal violence

তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হয়েছে সিসিটিভি। কুমিল্লার নানুয়ারদিঘি পূজামণ্ডপে কোরান শরিফ রেখে আসার ফুটেজ পেয়েছে পুলিশ। সেই ফুটেজ দেখেই চক্রান্তকারীদের একজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছে পুলিশ। ধৃতের নাম ইকবাল হোসেন।

এই সংক্রান্ত আগের খবরটি পড়ুন: Bangladesh Police: দুর্গামণ্ডপে কোরান রেখে হামলার উস্কানিদাতার নাম ইকবাল হোসেন

সিসিটিভি থেকে প্রমাণ হয়েছে, ইকবাল নাম্বার এই ব্যক্তি সাম্প্রদায়িক হামলা ছড়ানোর মতলব নিয়েই দুর্গামণ্ডপে কোরান শরিফ রেখে এসেছিল। তার বয়স ৩০ থেকে ৩৫ বছর হবে। তার বাবার নাম নুর আহমেদ আলম। বাড়ি কুমিল্লার সুজানগরে।

CCTV footage established main culprit of bangladesh communal violence

কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক জানিয়েছেন, কুমিল্লার নানুয়ারদিঘি এলাকায় দুর্গামণ্ডপে কোরান রেখে হামলার পরিবেশ তৈরি করার মূল সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারে সর্বাত্মক শক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে। আর ইকবাল হোসেন কোথা থেকে ওই কোরান শরিফটি সংগ্রহ করে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাও বের করা হয়েছে।

কুমিল্লায় দুর্গামণ্ডপে হামলার রেশ ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় পরপর হামলা হয় মন্দির ও সংখ্যালঘুদের মহল্লায়। চাঁদপুরের পরিস্থিতি সর্বাধিক রক্তাক্ত। এখানে পুলিশের গুলিতে ৫ জন হামলাকারী মৃত। নোয়াখালী, চট্টগ্রামে আর হামলাকারীরা দুজনকে খুন করেছে। রংপুরে গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, কুমিল্লার ঘটনাটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাজানো হয়েছে। ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল কেএম আজাদ জানান, কুমিল্লা থেকে যেহেতু হিংসার সূত্রপাত, তাই সেখানে কারা কীভাবে এর সঙ্গে জড়িত, তা বের করার বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে এমন দুই-একজনকে শনাক্ত করেছি, যাদের ধরতে পারলেই অনেক রহস্য উন্মোচিত হবে। আমরা সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।