ক্রমশ এগোচ্ছে তৃণমূল, গণনা শেষ হওয়ার আগে এজেন্টদের কেন্দ্র না ছাড়ার নির্দেশ পদ্মশিবিরের

নিউজ ডেস্ক: ভবানীপুর উপনির্বাচন সহ আজ বাংলার মোট তিন বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট গণনা। ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক লাখ ভোটের মার্জিনে জেতানোর টার্গেট রেখেছে রাজ্যের শাসকদল। ভবানীপুর…

Bjp loosing supporter base In tripura

নিউজ ডেস্ক: ভবানীপুর উপনির্বাচন সহ আজ বাংলার মোট তিন বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট গণনা। ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক লাখ ভোটের মার্জিনে জেতানোর টার্গেট রেখেছে রাজ্যের শাসকদল। ভবানীপুর আসনে ২১ রাউন্ড গণনা হবে। কমিশন সূত্রের খবর, প্রথম দু রাউন্ডের গণনা শেষে অনেক বেশি ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই মুহূর্তে প্রায় ২,৫০০ ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী। দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ৫,৩৩৩ টি ভোট। প্রিয়ঙ্কার প্রাপ্তি ২,৯৫৬ টি ভোট। অন্যদিকে সিপিআইএমের শ্রীজিব পেয়েছেন ১৩২ টি ভোট, নোটায় ভোট দিয়েছেন ৬৯ জন।

আরও পড়ুন Bhawanipore: শুরুতেই জয়ের লক্ষ্যে এগোচ্ছেন মমতা

অন্যদিকে সমশেরগঞ্জে দ্বিতীয় রাউন্ড গণনার শেষে ১১৪০ ভোটে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী আমিরুল ইসলাম। জঙ্গিপুরেরও তৃণমূল প্রার্থী জাকির হোসেন এগিয়ে ১৭১৭ ভোটে। ইতিমধ্যেই আবির খেলা শুরু হয়েছে ভবানীপুরে। তারমাঝেই ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ হল থেকে বেরবেন না। দলের কাউন্টিং এজেন্টদের এমনটাই নির্দেশ দিল বঙ্গ বিজেপি। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল, খারাপ ফলাফলের ইঙ্গিত মিলতেই বহু কাউন্টিং এজেন্ট গণনাকেন্দ্র ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না করতে মরিয়া সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বঙ্গ বিজেপি।

ভবানীপুর কেন্দ্রে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বি বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।  প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের নির্বাচনী এজেন্ট সজল ঘোষ জানান, মোট ১৪ টি টেবিলে ২১ রাউন্ড গণনা হবে। বিজেপির মোট ৮০ জন এজেন্ট সেখানে উপস্থিত থাকবেন। প্রচুর এজেন্ট দেওয়া হয়েছে সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরেও। 

আরও পড়ুন ভাইঝিকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়ে গ্রেফতার তৃণমূলনেত্রী

ভবানীপুরে কেন্দ্রে দ্বিতীয়বার ‘পরীক্ষা’য় বসেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ২ হাজারেরও কম ভোটে হেরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকতে হলে, নিয়ম মতো ছ’মাসের মধ্যে কোনও একটি কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে তাঁকে। আজ ভবানীপুরে জিতলেই আবার রাজ্যের প্রধানের কুর্সিতে বহাল হবেন তিনি। স্বাধীনতা পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় তিনিই একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী যিনি হেরে গিয়েও পদে আছেন দল জিতে যাওয়ায়। ফলে আজ স্বভাবতই তাঁর প্রেস্টিজ ফাইট।