নিউজ ডেস্ক: ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শেষপর্যন্ত মহিলা প্রার্থীকেই এগিয়ে দিল বিজেপি (BJP)। উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী হচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।
আরও পড়ুন হেরো মমতা শূন্য সিপিএম;দলত্যাগী ভাইরাস বিজেপি, ভবানীপুরে ভোট!
আগামী একমাস রাজ্য রাজনীতির নজর থাকবে কলকাতার ভবানীপুরে। এখানেই ভাগ্য নির্ধারণ হবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা নয়, ভাগ্য নির্ধারণ হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতার। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ২ হাজারেরও কম ভোটে হেরে যান মমতা বন্দ্যপাধ্যায়। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকতে হলে, নিয়ম মতো ছ’মাসের মধ্যে কোনও একটি কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে তাঁকে। কিন্তু বিজেপি প্রাত্থী তাঁকে কতটা ‘ফাইট’ দিতে পারবে তা নিয়েই এখন জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
কে এই প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল ?
কলকাতা হাই কোর্টের অ্যাডভোকেট প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। বাবুল সুপ্রিওর আইনি উপদেষ্টাও ছিলেন তিনি। এর আগে ২০১৫ সালে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে কলকাতা পৌর পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এই তরুণ নেত্রী। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের স্বপন সমাদরের কাছে হেরে যান।
২০১৪ সালে মোদী ঝড়ে খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছিল বিরোধীরা। ক্ষমতায় এসেছিল এনডিএ সরকার (NDA)। সেবছরেরই আগস্টে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। শুরুতেই দলের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করেছেন। ছ’বছর পর, ২০২০ সালের আগস্টে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার (বিজেওয়াইএম) সহ-সভাপতি করা হয়। চলতি বিধানসভা নির্বাচনে দলের প্রতীকে এন্টালি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন কিন্তু ৫৮২৫৭ ভোটের ব্যবধানে তৃণমূলের স্বর্ণকমল সাহার কাছে হেরে যান।
১৯৮১ সালের ৭ জুলাই কলকাতায় জন্ম প্রিয়ঙ্কার। ওয়েল্যান্ড গোল্ডস্মিথ স্কুলে পড়াশোনা শুরু। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। ২০০৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হাজরা ল কলেজ থেকে আইন ডিগ্রি পেয়ে প্র্যাকটিস শুরু করেন।
নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই, ভবানীপুরসহ তিন কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রত্যাশা মতোই ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী নিজে। জল্পনা চলছিল পদ্মশিবিরের প্রার্থী কে হবেন তাই নিয়ে। শিক্ষক দিবসের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘কে বলেছিল আপনাকে নন্দীগ্রামে আসতে ? এখন যদি আমাকে পার্টি বলে ভবানীপুরে আপনার বিপক্ষে দাঁড়াতে কী হবে তাহলে? আপনি নন্দীগ্রাম গিয়েছিলেন। এবার আমি এখানে আসি? মনে রাখবেন ওখানে কিন্তু ১৯৫৬ ভোটে হারিয়ে দিয়েছি, যেখানে ২৪ শতাংশ দুধেল গাই ছিল।’
ফলে গুঞ্জন উঠেছিল, নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদ ছেড়ে আবার ভোটে লড়বেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। যদিও সে বিতর্ক থামিয়ে দেন রাজ্য সভাপতি দীলিপ ঘোষ, জানিয়ে দেন শুভেন্দু প্রার্থী হবেন না। আলোচনায় ছিল রুদ্রনীল ঘোষের নামও। যদিও শেষবেলায় দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে যান তরুণ আইনজীবী। কালই ঠিক হয়, মমতার বিরুদ্ধে লড়বেন প্রিয়ঙ্কা।