ভারতের প্রথম প্রধান নির্বাচন কমিশনার এক বাঙালির বায়োপিক এবার বড়পর্দায়

সোমবার, ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনার একদিন আগে ভারতের প্রথম প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুকুমার সেনের জীবনের উপর একটি বায়োপিক ঘোষণা করা হল৷ প্রযোজনা ব্যানার রয়…

sukumar sen

সোমবার, ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনার একদিন আগে ভারতের প্রথম প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুকুমার সেনের জীবনের উপর একটি বায়োপিক ঘোষণা করা হল৷ প্রযোজনা ব্যানার রয় কাপুর ফিল্মস এবং ট্রিকিটেইনমেন্ট মিডিয়া জানিয়েছে যে তারা সুকুমার সেনের জীবনের উপর বায়োপিক নির্মাণের স্বত্ব কিনেছে ৷

এই চলচ্চিত্রটি সুকুমার সুকুমার সেনের জীবনকাহিনী এবং ১৯৫১ -৫২ সালে ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে তার অবদানের কাহিনী শোনাবে। সুকুমার সেন ছিলেন একজন গণিতবিদ এবং একজন সিভিল সার্ভেন্ট যিনি ভারতকে একটি ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে একটি গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক অনুশীলনের আয়োজনের দায়িত্বে, সেন ৫৬৫টি দেশীয় রাজ্য এবং নবগঠিত রাজ্য জুড়ে ১৭৫ মিলিয়ন জনসাধারণের নির্বাচনের পরিচালনা করেছিলেন।

   

সেনের গল্প পর্দায় আনার বিষয়ে, সিদ্ধার্থ রায় কাপুর বলেছেন, “আমাদের জাতীয় নায়ক সুকুমার সেনের গল্পকে জীবন্ত করে তুলতে পেরে আমরা অত্যন্ত সম্মানিত, যিনি ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাস গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। নিরক্ষরতার বিরুদ্ধে লড়াই থেকে শুরু করে জাল ভোটারকে চিহ্নিত করতে ভোটদান এর সময় আঙুলে কালী দেওয়া-এমন অনেক অবদানই ছিল ওনার। আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উদযাপনের পেছনে তার অবদান এবং আমাদের প্রথম নির্বাচনের এই রোমাঞ্চকর গল্পটি এবং এর পিছনের আশ্চর্যজনক ব্যক্তিকে ভারত এবং সারা বিশ্বের দর্শকদের কাছে নিয়ে আসার জন্য অপেক্ষায় রয়েছি আমরা ।”

সেনের নাতি সঞ্জীব সেন জানান, “জাতি হিসাবে ভারতের সবচেয়ে বড় সাফল্যের মধ্যে একটি হল সফল গণতন্ত্র। সমস্ত গণতন্ত্রের ভিত্তি হল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং এই প্রাণবন্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ভিত্তি স্থাপনের কৃতিত্ব অবশ্যই আমার দাদা সুকুমার সেনের কাছে যায়, যিনি ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, আমি এই মহান জাতির একজন নায়কের গল্প চিত্রিত করার জন্য প্রযোজকদের সাফল্য কামনা করি।”

সেনের আরেক নাতি দেবদত্ত সেনও এই প্রকল্প সম্পর্কে তার মতামত জানিয়ে বলেন, “আমাদের দেশের মানুষকে একজন অসাধারণ ব্যক্তি এবং তার কৃতিত্ব সম্পর্কে সচেতন করার জন্য এটি একটি প্রশংসনীয় প্রচেষ্টা।”ট্রিকিটেইনমেন্ট মিডিয়ার রোমানচাক অরোরা বলেছেন,” সুকুমার সেনের গল্পে নাটকীয় মুহূর্ত ভরা যা ভোটের অধিকার প্রয়োগকারী সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের অনুপ্রেরণা দেবে। ৭৩ বছর পরে বলা এই কাহিনী সারা দেশে সমস্ত প্রজন্মের অবশ্যই দেখা উচিত। “