Anirban bhattacharya Interview: ‘এখনও রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে মাটির ভাঁড়ে চা খাই’

একদিকে অভিনয়, অন্যদিকে পরিচালনা, ( Anirban bhattacharya ) দুইই সমান দক্ষতায় সামলাচ্ছেন অনির্বাণ। ব্যস্ত সিডিউলের মাঝে জানালেন টুকরো কিছু কথা প্রশ্ন: লাস্ট ছয় বছরে জীবনটা…

Anirban bhattacharya

একদিকে অভিনয়, অন্যদিকে পরিচালনা, ( Anirban bhattacharya ) দুইই সমান দক্ষতায় সামলাচ্ছেন অনির্বাণ। ব্যস্ত সিডিউলের মাঝে জানালেন টুকরো কিছু কথা
প্রশ্ন: লাস্ট ছয় বছরে জীবনটা কতটা বদলে গিয়েছে? 
বিশ্বাস করাে, কিছু বদলায়নি। আমি শুধু নিজের একটা গাড়ি আর বাড়ি কিনেছি। ব্যস, এইটুকু বদল।

প্রশ্ন: তার মানে বলতে চান, এখনও লােক দেখতে দেখতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে মাটির ভাড়ে চা খাওয়া হয় ?
আলবাত খাই। এখনও রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে মাটির ভাঁড়ের চায়ে চুমুক দিই। কিন্তু হ্যা, এখন আর সব জায়গায় চা খাওয়া হয় না। তবে আমার কিছু কিছু জায়গা সেট করা আছে, যেখানে আমি চা খেতে যাই।

হটলুকে অনুরাগীদের কালঘাম ছোটালেন দ্বিতিপ্রিয়া রায়

প্রশ্ন: আশ্চর্য, কেউ আপনাকে চিনতে পারে না? ( Anirban bhattacharya )
চিনতে পারে না। কিছু ক্ষেত্রে চিনতে পারার আগেই আমি বেরিয়ে আসি। তাছাড়া আমি অতওওও বড়াে স্টার হয়ে পারিনি যে আমাকে সবাই চিনতে পারবেন।

প্রশ্ন:  এই যে আপনাকে কেউ চিনতে পারল না, আপনি চা খেয়ে বেরিয়ে এলেন— কোথাও স্টার ইমেজে খারাপ লাগে না?
এক্কেবারেই নয়। বরং আমি চাই, তাঁরা আমাকে চিনতে না পারুক। এতে আমার ব্যক্তিগত জীবন সংরক্ষিত হয়।

অবশেষে হানিমুনে যশ-নুসরত! ডেস্টিনেশন কি জানেন?

প্রশ্ন:   এবছর রঙ খেলায় কি প্ল্যান?
এখন দোল কবে ভুলে গেছি। তাই কোনও প্ল্যানও নেই। তাছাড়া এখন এমনই এত রঙ মাখি.. সারাবছর অভিনেতাদের মুখে এত রঙ লাগে.. তাদের আবার আলাদা করে দোল লাগে নাকি!’

প্রশ্ন:  ছোটবেলায় রঙ খেলতেন না?
একদম খেলতাম। দুদিন ধরে দোল খেলা হত। বাঁদর রঙ, রানি রঙ অবশ্যই কিনতাম। তারপর রঙ বেলুন ফুলিয়ে এর ওর গায়ে ছুড়তাম, ভাংয়ের গুলি খেতাম। রঙ উঠতে ৭ থেকে ৮ দিন সময় লাগত।

প্রশ্ন: কৈশরের কোনও রঙ খেলার মজার কোনও স্মৃতি আছে?
আর সবার কৈশোরের দোলের মতোই আমারও ঠিক তেমনই ছিল দোল। আলাদা করে জামা প্যান্ট বেছে রাখা যে দোলের দিন এই জামাটা পরে খেলতে হবে। কোথায় খাওয়া হবে, নদীতে স্নান করা হবে এসবই। পুরো ঘটনাটাই মজার।

হটলুকে অনুরাগীদের কালঘাম ছোটালেন দ্বিতিপ্রিয়া রায়

প্রশ্ন: অপর্ণা সেন থেকে সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, এমনকি বিরসা দাশগুপ্ত– টলিউডের তাবড় তাবড় পরিচালক সকলেই অনির্বাণকে তাদের ছবিতে চাইছেন কেন?
এটা তাঁরা ভালো বলতে পারবেন। আমি শুধু যখন কোনও পার্ট পাই, তখন ফাঁকি না দিয়ে কষ্ট করে কাজটা করার চেষ্টা করি। যেটা সব অভিনেতাই করে থাকেন। তবে আমার নিজের মনে হয়, টলিউডের পরিচালকদের কোথাও আমার অভিনয়ের ওপর একটা আস্থা বা ভরসার জায়গা তৈরি হয়েছে।

প্রশ্ন:বর্তমানে টলিউডে ব্যোমকেশ বলতে মানুষ আবির চট্টোপাধ্যায়কে বোঝেন। সেখানে দাঁড়িয়ে ব্যোমকেশের চরিত্রে অভিনয় করাটা কতটা চ্যালেঞ্জের বা ডিফিক্যাল্ট ছিল ?
বিলিভ মি, ও সব কিছু ভাবিনি। খােলা মাথায় কাজ করে গিয়েছি। শুধু ব্যোমকেশের গল্প আর স্ক্রিপ্টটা মন দিয়ে বারবার পড়েছি। আর বাঙালিয়ানাকে যতটা পারা যায় ব্যোমকেশের চরিত্রে ইনকর্পোরেট করার চেষ্টা করেছি। সঙ্গে নিজের আইডিয়া দিয়ে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কীভাবে রিঅ্যাক্ট করা যেতে পারে, সেই চিন্তাভাবনা করেই প্রস্তুতি নিয়েছি। এবার বাকিটা দর্শকরা জানেন। অবশ্য কেউ কেউ আমাকে বলেছেন, খুব ভালাে অভিনয় করেছি। আবার কারও একদমই ভালাে লাগেনি। তবে হ্যা, নার্ভাস একটু ছিলাম বৈকি। অত বড়াে বড়াে সব অভিনেতা ব্যোমকেশের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

প্রশ্ন: ‘গুমনামি বাবা’-তে প্রসেনজিতের সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?
এককথায় দারুণ। খুব এনার্জিটিক ও স্পাের্টিং মানুষ উনি। আমি তাে প্রথম দিন খুব নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু উনি সেটে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে যেভাবে আপন করে। নিলেন, তারপর ভয়গুলাে কোথায় যেন সব পালিয়ে গেল! ওঁর সঙ্গে কাটানাে প্রতিটি মুহূর্ত দারুণ।

প্রশ্ন:  মঞ্চে পারফরম্যান্স, নাকি চলচ্চিত্রে কাজ করা কোনটা বেশি সহজ?
দুটো কাজ দু’রকমভাবে কঠিন। পার্থক্য শুধু ফর্মের। দু’ক্ষেত্রেই একজন অভিনেতাকে অন্য একজন মানুষ সাজতে হয়। সে কাজটি খুবই কঠিন।

প্রশ্ন: অশােক দিন্দার সঙ্গে কাটানাে কিছু মজার ঘটনা যদি শেয়ার করেন
আমার জীবনে মজার কোনও ঘটনা খুবই কম। অশােকের সঙ্গে তেমন কোনও মজার স্মৃতি আমার নেই। তবে প্রায় সকালে আমরা রাস্তার ধারে একটা দোকানে ব্রেকফাস্ট করতে যেতাম। ও গপগপ করে চারটে ডিম, দশটা পাউরুটি খেত। তার পর একদিন ও ট্রেনিং নিতে অস্ট্রেলিয়া চলে গেল। আর এদিকে আমি থিয়েটার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আজ আর কারও মধ্যে কোনও যােগাযােগ নেই।

প্রশ্ন: আপনার মহিলা ফ্যান ফলােয়িং এখন বিশাল। বিষয়টা কতটা এনজয় করেন ?
ফ্যানরা অভিনেতাদের কাছে বরাবরই খুব স্পেশ্যাল। তবে আমার বেশ কিছু মহিলা শিল্পী ফ্যান আছেন, তারা আমাকে স্কেচ এঁকে দেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম গিফট বা কার্ড পাঠান। আমি সেগুলি বাড়িতে সাজিয়ে রাখি। যা সত্যি খুবই ভালাে লাগার।