যখন তোমার কেউ ছিল না…এখন আর অভিমানী রাহুলের বুক ভাঙে না

নিউজ ডেস্ক: বঙ্গ রাজনীতির ইনিও চর্চিত। বিতর্কিত। তবে এখন একাকী। রাহুল সিনহা। এই নাম আর বিজেপি একসময় পশ্চিমবঙ্গে একসাথে উচ্চারিত হতো। ত খন বাজপেয়ী-আদবানী যুগ।…

Rahul Sinha

নিউজ ডেস্ক: বঙ্গ রাজনীতির ইনিও চর্চিত। বিতর্কিত। তবে এখন একাকী। রাহুল সিনহা। এই নাম আর বিজেপি একসময় পশ্চিমবঙ্গে একসাথে উচ্চারিত হতো। ত খন বাজপেয়ী-আদবানী যুগ। রাজ্যে বিজেপি শূন্য ছিল।

তারপর তৃণমূলের উঠতি বয়স। এনডিএ অংশীদারি সুবাদে রাহুল-মমতার পাশাপাশি অবস্থান। রাজ্য থেকে কৃষ্ণনগরের জলুবাবু, দমদমের তপন শিকদারের মতো নেতৃত্বের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলেও বিধানসভায় হালে পানি পেত না বিজেপি। রাহুল সিনহা রাজ্যের ‘ভাজপা’ মুখ হয়ে শাসক বামফ্রন্ট বিরোধী আন্দোলন চালাতেন।

দিন গত হয়েছে। বিজেপি রাজ্যে বিরোধী দল। বামেরা শূন্য। তৃণমূল সরকার। দলের নির্দেশে রাহুলবাবু সেই যে দিলীপ ঘোষের হাতে দায়িত্ব দিয়ে একপেশে হলেন, আর তেমন নেই তাঁর ভূমিকা এমনই মনে করেন তাঁর নিন্দুক গোষ্ঠী। বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপ শাসন এখন অতীত। তবে তাঁর হাতেই বিজেপি রাজ্যে ঐতিহাসিক সাফল্য পায়। তাঁকে অপসারণের পর বিরোধী দলের নতুন রাজ্য সভাপতি হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।

রাহুল সিনহা, দিলীপ ঘোষ দুই বিজেপি রাজ্য সভাপতির আমলে রাজ্যে বাম জমানার পতন ও তৃণমূল জমানা এমনই রাজনৈতিক সমীকরণ। এর মাঝে মোদী ঝড়কে আশীর্বাদ মাথায় করে দিলীপবাবু বিধানসভা ও সংসদে পৌঁছে গেলেন, আর এই ঝড়েও রাহুল সিনহার জয় হলনা। ‘হেরো’ তকমা নিয়েই একলা তিনি।

বিজেপির অভ্যন্তরে কান পাতলে শোনা যায় ‘রাহুল দা কেন যে জিততে পারেন না, রাম-ই জানেন!’ যদিও তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর কটাক্ষ, একটা কাউন্সিলর ভোটেও জয়ের ক্ষমতা নেই রাহুল সিনহার। আসলে জয় ব্যাপারটাই ওর নামের সঙ্গে যায় না।

রাহুলবাবুর মন ভাঙে তবু বুক ভাঙে না। যে বঙ্গ বিজেপি একদিন তারকা শূন্য, বিধায়ক শূন্য তখন তিনি হাতে ধরে টানতেন সেই দলেই কোনঠাসা।
নতুন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে তেমন বনিবনা হবে না রাহুলবাবুর এটা ধরেই নিচ্ছেন রাজ্য নেতৃত্বের বড় অংশ। কারণ, সুকান্তবাবু আসলে বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ।

সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষকে সময়ের আগেই রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরানোর কারণ তাঁর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপি হওয়া শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে ‘মনকষাকষি’। জানা যাচ্ছে বিষয়টি নিয়ে দলের অভ্যন্তরে তুমুল আলোড়ন চলছে। অনেকেই সুকান্তবাবুকে মানতে পারছেন না। এখানেই আশায় বুক বাঁধছেন রাহুল সিনহা।

সূত্রের খবর, শারোদতসবের পরে বিরাট ভাঙনের মুখে পড়তে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। সভাপতি হয়ে তা কতটা রুখতে পারবেন সুকান্ত মজুমদার সেটার উপরেই হবে বিচার।