নিউজ ডেস্ক: একসঙ্গে দুই রাজ্যে ‘বিজেপি বধ’ অভিযান শুরু করতে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাসক দলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নেতা জানালেন মোটামুটি অভিযানের কোডওয়ার্ড তৈরি। দেবী দুর্গার ভূমিকায় অসুর নিধনে নামবেন নেত্রী।
ভবানীপুর কেন্দ্রের উপ নির্বাচনের ফল ঘোষণাটুকুই বাকি, দলনেত্রী বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হলেই আসল অভিযান শুরু করা হবে। এমনই জানাচ্ছেন রাজ্য তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিতর্কিত নেতা। তিনিও ‘কনফিডেন্ট’। শাসক দলের পূর্ব বর্ধমান জেলা তথা রাজ্যের অতি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক মুখ আরও এক নেতার দাবি, সময় আগত। কোনওভাবেই আর ছাড় দিতে চাননা নেত্রী।
কী অবস্থা বিরোধী দলের? বিজেপি প্রদেশ শাখার অন্দরমহলে এখন দশমীর অপেক্ষা। কে যাবেন আর কে থাকবেন তা নিয়ে তালিকা তৈরি হচ্ছে। সর্বশেষ হিসেব অন্তত দু ডজন বিধায়ক শুধু শুভ বিজয়া বলেই চলে যাবেন কালীঘাটের দিকে। কারোর উপরেই নিয়ন্ত্রণ নেই।
বিধায়ক সংখ্যা ধরে রেখেবিজেপির অন্দরে বিরোধী দলের মর্যাদা যে বেশিদিন সম্ভব না তাও স্পষ্ট। সূত্রের খবর, বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে মেনে নিতে পারছেন না নেতারা। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র একই চিত্র।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মতো ত্রিপুরায় একই কায়দায় অভিযান হবে। সে রাজ্যেও নির্বাচনের আগেই শাসক দল থেকে বিজেপি বিধায়করা ফের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে মরিয়া।
এদিকে বিজেপি শাসিত অসমের দরং জেলায় উচ্ছেদের নামে গুলি চালনা ও প্রান্তিক মানুষদের মৃত্যুর জেরে দেশ সরগরম। এ ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে বাম জমানায় নন্দীগ্রামের গুলি চালিয়ে কৃষক হত্যার মত মর্মান্তিক বলেই মনে করছে টিএমসি। সূত্রের খবর, সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে টিএমসিতে আসা অসমের বরাক উপত্যকার শিলচরের নেত্রী সুস্মিতা দেবের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃ়নমূল কংগ্রেস।