নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan) প্রত্যাশিতভাবেই গণহত্যা শুরু করল তালিবান জঙ্গি সরকার। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দাবি, আফগানিস্তানে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর দায়কুন্দি প্রদেশে হাজারা সম্প্রদায়ের ১৩ সদস্যকে খুন করেছে তালিবান। নিহতদের মধ্যে মাসুমা নামে ১৭ বছরের এক মেয়ে রয়েছে।
আলজাজিরা জানাচ্ছে, গত ৩০ আগস্ট ৩০০ জন তালিবান জঙ্গি দায়কুন্দি প্রদেশের খিদির জেলায় প্রবেশ করে। সেখানে তারা আফগান ন্যাশনাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এএনএসএফ) ১১ কর্মীকে গুলি করে মেরে দেয়। এরা সবাই প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির আমলে রক্ষী ছিলেন। স্থানীয় একটি নদীর ধারে এই গণহত্যা চালায় তালিবান। মারা হয়েছে দুজন সাধারণ আফগানিকে।
যেসব এএনএসএফ সদস্যকে মারা হয়েছে তাদের বয়স ২৬ থেকে ৪৬ বছরের মধ্যে। নিহত সবাই হাজারা সম্প্রদায়ের। এই সম্প্রদায় তালিবানের ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সরকারের সময় নির্যাতিত হয়েছিলেন।
অ্যামেনেস্টির নথিভুক্ত হাজারা সম্প্রদায়ের সদস্যদের ওপর চালানো দ্বিতীয় হত্যাকাণ্ড। এর আগে ১৯ আগস্ট প্রকাশিত অ্যামেনেস্টির প্রতিবেদনে বলা হয়, গজনি প্রদেশে হাজারা সম্প্রদায়ের অন্তত ৯ জনকে খুন করে তালিবান।
আফগানিস্তানের প্রাক্তন সংসদ সদস্য রাইহানা আজাদের অভিভাবক, ৩০ আগস্টের ঘটনা একটি গণহত্যা। অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড জানান, এই হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করেছে যে, তালিবান পূর্বের মতো ভয়াবহ কাণ্ড ঘটাচ্ছে।
প্রথম তালিবান সরকারের আমলে বালখ ও বামিয়ান প্রদেশে হাজারা সম্প্রদায়ের শতাধিক মানুষ খুন করে তালিবান। আমেরিকার সেনা সরে যাওয়ার পদক্ষেপ নিতেন গত ১৪ আগস্ট দায়কুন্দি প্রদেশ দখল করে তালিবান। বহু বাসিন্দা পলাতক। ১৫ আগস্ট কাবুল দখন করে তালিবান।