Afganistan: বিশ্বের ৮৭ শতাংশ মাদক পাচারকারী তালিবান-EFSA

News Desk: আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল করার পর তালিবানের (Taliban) দৌলতে বিশ্বে মাদক (Drug) কারবার ফের ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। এই মুহূর্তে নিষিদ্ধ মাদকের অন্যতম বড় সরবরাহকারী হিসেবে…

world's-drug

News Desk: আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল করার পর তালিবানের (Taliban) দৌলতে বিশ্বে মাদক (Drug) কারবার ফের ফুলে-ফেঁপে উঠেছে।

এই মুহূর্তে নিষিদ্ধ মাদকের অন্যতম বড় সরবরাহকারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে আফগানিস্তান সম্প্রতি এক মার্কিনী রিপোর্টে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। হিন্দুকুশের আড়াল থেকে নতুন করে ফের হেরোইন ব্যবসার রাশ নিজের হাতে তুলে নিয়েছে তালিবান।

গোটা বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আফিম তৈরি হয় আফগানিস্তানে। আফিম থেকেই তৈরি হয় হেরোইনের মত মারাত্মক মাদক। এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে এই মাদকের বিপুল চাহিদা। সম্প্রতি এই মাদক সংক্রান্ত এক রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনেছে ইউরোপিয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ (EFSA)। ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বের ৮৭ শতাংশ আফিম তৈরি হয় আফগানিস্তানে। মাদকের কারবার বন্ধ করতে বিগত ২০ বছরে প্রায় ৯ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে আমেরিকা। তা সত্ত্বেও মাদকের কারবারে রাশ টানা সম্ভব হয়নি।

world's-drug

ইএফএসএ-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ (jabiullah mujhahid) ঘোষণা করেছিলেন আফিম চাষে লাগাম টানবেন তাঁরা। কিন্তু বাস্তবে একেবারেই উল্টোটা ঘটেছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আন্তর্জাতিক ত্রাণ পাওয়ার জন্যই শুধুমাত্র লোক দেখানো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তালিবান। সূত্রের খবর, আফগানিস্তানে তৈরি হওয়া আফিম থেকে পাকিস্তানের (pakistan) গবেষণাগারে বিপুল পরিমাণ হেরোইন তৈরি হচ্ছে এবং তা ইউরোপরর (europe) বাজারে পৌঁছে যাচ্ছে। ছড়িয়ে পড়ছে ভারতেও। আফগানিস্তানে তৈরি হওয়া মাদকের ৪০ শতাংশ পাচার হয় পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে। বিদেশি সাহায্য বন্ধ থাকায় দেশ চালাতে মাদক ব্যবসাকেই হাতিয়ার করেছে তালিবান।

আফগানিস্তানের মাদক ব্যবসা ফুলে-ফেঁপে ওঠার কারণ প্রসঙ্গে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রায় তিন মাস আগে তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এই দেশ কার্যত একঘরে হয়ে আছে। আফগানিস্তানের অর্থনীতি মূলত বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু বিশ্বের কোনও দেশ তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি না দেওয়ায় সেই বৈদেশিক সাহায্য আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

রাষ্ট্রসংঘ- সহ যে সমস্ত আন্তর্জাতিক সংগঠন আফগানিস্তানকে সাহায্য করত তারাও তালিবান সরকারকে কোনও রকম সাহায্য করছে না। আমেরিকার বেশকিছু ব্যাংকে আফগানিস্তান সরকারের টাকা থাকলেও জো বাইডেন প্রশাসন সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলি বাজেয়াপ্ত করেছে। ফলে কোনও জায়গা থেকেই অর্থ সংগ্রহ করতে পারছে না তালিবান শাসকরা।

কিন্তু দেশের বিভিন্ন ধরনের দৈনন্দিন খরচ চালাতে প্রচুর পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। অর্থের সেই প্রয়োজন মেটাতে তালিবানরা হাতিয়ার করেছে মাদককে। এতে তালিবানদের নিজেদের প্রয়োজন মিটলেও গোটা বিশ্বেই অন্ধকার নেমে আসছে। যা ইউরোপ আমেরিকা (america) এবং ভারতের (india) মত দেশকে নিতান্তই উদ্বেগে ফেলেছে।