আসরাফি সাফাই: ‘৬০ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচাতেই কাবুল ছেড়েছিলাম’

নিউজ ডেস্ক: তালিবানরা (Taliban) আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পরেই তালিবানদের হাতে দেশবাসীকে তুলে দিয়ে আফগানিস্তান ছেড়েছিলেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি৷ তারপর থেকেই দেশবাসীকে বিপদের মুখে ফেলে চলে…

afghan president ashraf ghani

নিউজ ডেস্ক: তালিবানরা (Taliban) আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পরেই তালিবানদের হাতে দেশবাসীকে তুলে দিয়ে আফগানিস্তান ছেড়েছিলেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি৷ তারপর থেকেই দেশবাসীকে বিপদের মুখে ফেলে চলে যাওয়ার জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। এবার জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন তিনি। তাঁর দাবি, সংঘর্ষ এড়াতে ও কাবুলের মানুষের প্রাণ বাঁচাতেই তিনি দেশ ছেড়েছিলেন।

আরও পড়ুন ঘানি-বাইডেন বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, বিস্ফোরক আফগান সেনাপ্রধান

তালিবান যোদ্ধারা ঝটিকা অভিযানে আফগানিস্তানের অধিকাংশ এলাকার দখল নেওয়ার পর থেকেই থেকেই পদত্যাগ করার জন্য আশরাফ ঘানির ওপর চাপ বাড়ছিল। আশরাফ গনি একটি বিমানে করে তাজিকিস্তান চলে গিয়েছেন বলে রয়টার্স সহ অন্যান্য সংবাদ সংস্থা জানিয়েছিল।  বর্তমানে সংযুক্ত আরব অমিরশাহীতে রয়েছেন তিনি।

এক বার্তায় তিনি বলেন, “তালিবানদের শান্ত রাখতে ও কাবুলের ৬০ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্যই আমি ১৫ আগস্ট দেশ ছেড়েছিলাম। কাবুল ছাড়া আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল। তবে আমার মনে হয়েছিল কাবুলের ৬০ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচানোর একমাত্র উপায় এটাই।”

কাবুল ছাড়ার পর ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি লিখেছিলেন যেঁ তিনি একটি কঠিন সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হয়েছিলেন৷ তিনি কি সশস্ত্র তালিবানের মুখোমুখি হবেন? নাকি যে দেশের জন্য ২০টি বছর দিয়েছেন, সেই দেশ ছেড়ে যাবেন। তিনি লিখেছিলেন, ‘’আমাকে সরিয়ে দিতে তালিবানরা পুরো কাবুল ও বাসিন্দাদের ওপর হামলা করতে এসেছে। রক্তপাত এড়াতে দেশ ছেড়ে যাওয়া ভালো হবে বলে আমি মনে করেছি। তরবারি আর বন্দুকের ওপর নির্ভর করে তারা বিজয়ী হয়েছে। এখন আমাদের দেশবাসীর সম্মান, সম্পদ আর আত্মমর্যাদা রক্ষার দায়িত্বও তাদের,’’ তবে আশরাফ গনি তাজিকিস্তান নাকি উজবেকিস্তান গিয়েছেন, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করা ৭২ বছর বয়সী আশরাফ গনি দীর্ঘদিন বিদেশে কাটিয়েছেন। ২০০১ সালে তালিবানের পতনের পর তিনি দেশে ফিরে আসেন। ২০১৪ সালে তিনি প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য পুনঃনির্বাচিত হন।