‘হেরো’ মমতা-‘শূন্য’ সিপিএম-‘দলত্যাগী ভাইরাস’ বিজেপি, ভবানীপুরে ভোট!

নিউজ ডেস্ক: এমন ভোট কখনও হয়নি। বঙ্গ রাজনীতির সেই স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময় মুসলিম লীগ সরকার থেকে স্বাধীনতা পরবর্তী কংগ্রেস, যুক্তফ্রন্ট, বামফ্রন্টের আমলে এমনটা হয়নি। নজিরবিহিন…

Mamata Banerjee

নিউজ ডেস্ক: এমন ভোট কখনও হয়নি। বঙ্গ রাজনীতির সেই স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময় মুসলিম লীগ সরকার থেকে স্বাধীনতা পরবর্তী কংগ্রেস, যুক্তফ্রন্ট, বামফ্রন্টের আমলে এমনটা হয়নি। নজিরবিহিন হয়ে গিয়েছে সর্বশেষ বিধানসভার নির্বাচন। তৃণমূল কংগ্রেসের দশ বছরের সরকার চালিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) হেরে গিয়েছেন নন্দীগ্রাম থেকে। তবে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে তৃতীয়বার সরকার গড়েছে। প্রথমবার বিজেপি রাজ্যে বিরোধী দল আর গোহারা হেরে শূন্য হয়েছে একদা শাসক সিপিআইএম।

নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী হেরেও দলীয় শক্তির জোরে ফের কুর্সিতে। তাঁকে আইনত জয়ী বিধায়ক হিসেবে বিধানসভায় আসতে হবে। প্রাক্তন বিধায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই উপনির্বাচনের পরীক্ষা দেবেন। সেই পুরনো কেন্দ্র ভবানীপুর থেকে। যেখান থেকে গত বিধানসভার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন।

কলকাতার ভবানীপুর ঘিরে এখন তিনটি শব্দ- ‘মমতার কী হবে’। তৃণমূল বলছে, দেশের একমাত্র মোদী বিরোধী মুখ মমতাকে জিতিয়ে দেবেন ভবানীপুরবাসী। যেমন তারা এবারের ভোটে তাঁরই মনোনীত শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে জয়ী করেছেন। বিরোধী দল বিজেপির কটাক্ষ, ‘হেরো মমতা’ নিজেকে বাঁচাতে মরিয়া। শূন্য হয়ে যাওয়া বামেরা নীরব। তবে তারাও হেরো তকমা দিচ্ছে মু়খ্যমন্ত্রীকে।

ভবানীপুর কেন্দ্র আসন্ন উপনির্বাচনের চরম কৌতূহলের কেন্দ্র। এখানে লড়াই হচ্ছে বিধানসভায় আশাহত তিন পক্ষের মধ্যে। প্রথম পক্ষ তৃণমূলের নেত্রী যিনি নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মুখ তিনি নন্দীগ্রামেই পরাজিত হয়ে চরম ‘বেদনাহত’।

দ্বিতীয়পক্ষ আশাহত বিজেপি যারা মনে করেছিল রাজ্যে প্রথমবার সরকার গড়বে। এখন দলত্যাগী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ক্রমাগত বিধায়ক সংখ্যা কমছে তাদের। তৃতীয়পক্ষ শূন্য বামেরা সব হারিয়ে ভাঁড়ে মা ভবানীর মতো পরিস্থিতি। ভবানীপুরে ফের ভোট হবে।