অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্তের বিরুদ্ধে এবার আইনি পথ বেছে নিলেন তনুশ্রী দত্ত। ওশিওয়ারা থানায় এফআইআর দায়ের করলেন তনুশ্রী। মিডিয়ার সাথে এই কথোপকথনের সময় তনুশ্রী বলেন, “২০১৮ সালে রাখি সাওয়ান্ত আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছিল। আমি তার বিরুদ্ধে এফআইআর করতে এসেছি। তার কারণে, ২০১৮ সালে ‘মি টু মুভমেন্ট’-এর (#MeToo movement) সময় আমাকে মানসিক আঘাত পেতে হয়েছিল। বিভিন্ন কারণের ভিত্তিতে এই এফআইআরে অনেক দণ্ডবিধি যুক্ত করা হয়েছে।”
তনুশ্রী দত্ত আরও বলেন, তিনি আমার বিরুদ্ধে যে বক্তব্য দিয়েছেন আমরা তার প্রতিটি রেকর্ড করেছি। এবারও তাকে রেহাই দেওয়া হবে না। এখন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তারা শীঘ্রই ব্যবস্থা নেবে এবং আমি তাদের সম্পূর্ণ পটভূমিও সরবরাহ করেছি। তনুশ্রী বলেন, “এই জিনিসটা শুরু হয়েছিল যখন হর্ন ওকে প্লিজ ছবির সময়, নির্মাতারা প্রথমে রাখিকে সরিয়ে দিয়েছিলেন এবং আমাকে ছবিতে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এবং তারপর নানা পাটেকরের সাথে বিতর্কের পরে, তারা আবার রাখিকে ফিরিয়ে আনেন। আমার নাম ব্যবহার করে চলচ্চিত্রের জন্য প্রচার করা এবং তারপর আমাকে বের করে দেওয়া তাদের অন্যতম কৌশল ছিল।”
তনুশ্রী দত্ত তার বক্তব্য শেষ করেছেন এই বলে যে তিনি আমার সমস্ত চেক বাউন্স করেছেন। রাখিও এই পুরো পরিকল্পনার একটি অংশ ছিল। রাখির কারণে আমাকে মানসিক ও মানসিকভাবে অনেক আঘাতের সম্মুখীন হতে হয়েছে। তিনি আমাকে নিয়ে অনেক হাস্যকর কথা বলেছেন। আমি সহ্য করতে পারিনি। রাখি প্রতি বছর লাইমলাইটে থাকার জন্য একটি নতুন নাটক করে। সে আমার সম্পূর্ণ ইমেজ নষ্ট করে দেয়। তিনি আমার ব্যক্তিগত জীবনকে টার্গেট করেছেন, তার কারণে আমি বিয়ে করতে পারিনি।
তনুশ্রী দত্তকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে কেন তিনি এত দেরিতে এই এফআইআর দায়ের করছেন, তিনি বলেন, “আমি 2008 এবং 2018 সালে নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেছি। কিন্তু রাখি তার সস্তা ভিডিও এবং আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের কারণে আমাকে অসুস্থ ও দুর্বল করে তুলেছিল। এখন যেহেতু আমি ফিরে এসেছি এবং সময় আছে, আমি নিশ্চিত করব যে রাখি আমার সাথে যা করেছে তার জন্য শাস্তি পাবে।”
