চলতি শিক্ষাবর্ষেই রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলিতে পড়ানো হবে AI ও Data Science

সংসদের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিতে Artificial Intelligence বা AI এবং Data Science পড়ানো হবে। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হল বিজ্ঞপ্তি।

Students Learning AI and Data Science in West Bengal Government Schools

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান বাংলার পড়ুয়ারা যেন দেশের আর পাঁচটা রাজ্যের পড়ুয়াদের থেকে এগিয়ে থাকে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই পদক্ষেপ নিল পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সংসদের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিতে Artificial Intelligence বা AI এবং Data Science পড়ানো হবে। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হল বিজ্ঞপ্তি।

চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই বাংলাতে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ স্কুলগুলিতে উচ্চ মাধ্যমিকের সিলেবাসে পড়ানো হবে AI এবং Data Science। যে স্কুলগুলি এই নতুন বিষয় দুটি পড়াতে আগ্রহী, তাদের আগামী ২ মে থেকে ৩০ জুনের মধ্যে সংসদের কাছে আবেদন জানাতে হবে।

   

উল্লেখ্য, যেসব স্কুলে Computer Science পড়ানো হয় এবং সেই সংক্রান্ত Lab রয়েছে, শুধুমাত্র সেই সব স্কুলকেই Data Science এবং Artificial Intelligence পড়ানোর অনুমতি দেওয়া হবে। দুটি বিষয়ে শিক্ষকদের জন্য দশ দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে সংসদ।

সংসদের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের যে সরকারি স্কুলগুলি AI এবং Data Science পড়াতে ইচ্ছুক তাদের কিছু শর্ত মানতে হবে।
১. যেসব স্কুলে Computer Science পড়ানো হয় এবং সেই সংক্রান্ত Lab রয়েছে, শুধুমাত্র সেই সব স্কুলকেই Artificial Intelligence এবং Data Science পড়ানোর অনুমতি দেওয়া হবে।

২. সেই স্কুলে Computer Science বা তথ্য প্রযুক্তিতে BSC, BE, B.Tech বা স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন এমন স্থায়ী শিক্ষক থাকতে হবে। বা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন বা গণিতে স্নাতক পাশ করে AI এবং Data Science -এ বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এমন স্থায়ী শিক্ষক এবং Paithon Programing-এর জ্ঞান রয়েছে এমন শিক্ষক স্কুলে থাকা অবশ্যিক।

তবে এই দুই শর্ত মেনে বাংলার ঠিক কতগুলি স্কুলে এই দুটি বিষয়ে পঠনপাঠন চালু করা যাবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। যে সব যুবক-যুবতী Computer Science বা BSC, BE, B.Tech বা স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন বা AI ও Data Science -এ বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাঁরা কেন কম বেতনের স্কুল শিক্ষক বা শিক্ষিকা পদে চাকরি করতে আসবেন।