শিক্ষাতেও ধর্মের ছাপ! মৌলানা আজাদ স্কলারশিপ বন্ধ মোদীর, দেশজুড়ে বিক্ষোভে SFI

সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের স্কলারশিপে কোপ বসিয়েছে মোদী সরকার। এমনটাই অভিযোগ এসএফআইয়ের।(SFI) তাই তারা নামল প্রতিবাদে। আর সেই প্রতিবাদ হচ্ছে দেশজুড়ে

SFI protest

সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের স্কলারশিপে কোপ বসিয়েছে মোদী সরকার। এমনটাই অভিযোগ এসএফআইয়ের।(SFI) তাই তারা নামল প্রতিবাদে। আর সেই প্রতিবাদ হচ্ছে দেশজুড়ে।

Advertisements

এসএফআই বলছে যে, ‘চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই মৌলানা আজাদ স্কলারশিপ (Maulana Azad National Scholarship) বন্ধ করে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা এম ফিল ও ডক্টরেট করতে গেলে তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য ইউপিএ সরকারের সময়ে এই স্কলারশিপ চালু করা হয়েছিল।

মোট পাঁচটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা এই স্কলারশিপ পেত। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য একাধিক প্রকল্পের ব্যবস্থা রয়েছে। তাই মৌলানা আজাদ স্কলারশিপ চালিয়ে যাওয়ার কোনও দরকার নেই। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং সার্বিকভাবে সব পড়ুয়াদের জন্যে বরাদ্দ যখন কমছে।’

SFI protest

Advertisements

এসএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক, ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, ‘২০০৫ সালে ভারতে মুসলিম পড়ুয়াদের অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য সাচার কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। সেই কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছিল, শিক্ষাক্ষেত্রে মুসলিম পড়ুয়াদের অবস্থা তপশিলি জাতির থেকেও খারাপ। এই কমিটির রিপোর্টের সুপারিশ মেনেই তৎকালীন ইউপিএ সরকার মৌলানা আজাদ স্কলারশিপ চালু করে। মুসলিম ছাড়াও খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, পারসি, শিখ পড়ুয়াদের জন্য এই স্কলারশিপ দেওয়া হত। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা এম ফিল বা পিএইচডি করতে গেলে এই স্কলারশিপ পেত। সম্প্রতি এই স্কলারশিপ বন্ধের কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। ‘

প্রসঙ্গত, এই স্কলারশিপের আওতায় থাকা পড়ুয়ারা দীর্ঘদিন ধরেই টাকা পাচ্ছেন না। তারপরেই কেন্দ্রের এহেন সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে এসএফআই। এই পদক্ষেপের ফলে বিশাল সংখ্যক সংখ্যা পড়ুয়া সমস্যায় পড়বেন। বিশেষত উচ্চ শিক্ষায়। কেন্দ্রের এই অবিচারের ফলে পড়াশোনার সুযোগ হারাবেন একাধিক স্কলার।

এসএফআই সভাপতি,ভি.পি.শানু বলেন, ‘এসএফআই আজ এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবিতে দেশের নানা প্রান্তে প্রতিবাদ জানিয়েছে। দিল্লিতে সংখ্যালঘু দপ্তরের সামনে প্রতিবাদ হয়। এসএফআই এর প্রতিবাদ হয় কেরালা, কাশ্মীর, মহারাষ্ট্র, আসাম, হিমাচল, তামিলনাড়ু, গুজরাট এবং পশ্চিমবাংলা ও দেশের নানা বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে।’