Higher Secondary: সেমিস্টার পদ্ধতি চালু হওয়ার পর সাপ্লির সুযোগ উচ্চমাধ্যমিকে

শিক্ষার জগতে নতুন দিশা। বিশেষ সুযোগ পেতে চলেছে উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষার্থীরা। কারণ উচ্চ মাধ্যমিকে প্রত্যেক সেমেস্টারে পড়ুয়াদের বিষয়ভিত্তিক বাধ্যতামূলক ভাবে পাশ করতে হলেও কিছু…

Higher Secondary Syllabus to Undergo Major Changes from Next Session

শিক্ষার জগতে নতুন দিশা। বিশেষ সুযোগ পেতে চলেছে উচ্চমাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষার্থীরা। কারণ উচ্চ মাধ্যমিকে প্রত্যেক সেমেস্টারে পড়ুয়াদের বিষয়ভিত্তিক বাধ্যতামূলক ভাবে পাশ করতে হলেও কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ের কথা জানাল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। সেমেস্টার পদ্ধতির মূল্যায়ন নিয়ে গাইডলাইন প্রকাশ করেন সংসদ-সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার পাশাপাশি পাশ মার্কসে থাকছে ছাড়। কম্পালসারি কোনও বিষয়ে ফেল করলে, আগের মতোই সেটিকে অপশনাল বিষয় হিসেবেও পরিবর্তনের সুযোগ থাকছে।

দ্বাদশের চূড়ান্ত সেমেস্টারে কোনও পরীক্ষার্থী একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হলে, শুধু সেই বিষয়গুলিতেই পরের বছর পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হওয়া যাবে। এছাড়াও দু’টি সেমেস্টারের পরীক্ষা একসঙ্গে দেওয়ার সুযোগও থাকছে পরীক্ষার্থীদের। একাদশ এবং দ্বাদশের প্রথম সেমেস্টার চলাকালীন একজন পরীক্ষার্থী কোনও পেপারে না বসলেও চূড়ান্ত সেমেস্টারে সব পত্রই দিতে পারবে ।

তাছাড়া প্রতি সেমেস্টারে পাঁচটি বিষয়ে পাশ অর্থাৎ ন্যূনতম ৩০ শতাংশ নম্বর পেলেই পরীক্ষার্থীরা উত্তীর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে ফেল করা বিষয়টি ঐচ্ছিক হয়ে যাবে। তবে দু’টি ভাষার পত্রে পাশ করতেই হবে। একজন পড়ুয়া কোনও কম্পালসরি সাবজেক্টে সর্বাধিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত নম্বর কম পেয়ে অকৃতকার্য হলেও তাকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করার সংস্থান রাখা হয়েছে। কারণ পড়ুয়ারা তার অন্য কোনও আবশ্যিক বিষয়ে বাড়তি নম্বর পেলে, সেখান থেকে ৫ শতাংশ নম্বর কেটে প্রথমটিতে যোগ করা হবে। এছাড়াও ফেল করা কম্পালসরি বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর ও পাশ মার্কসের মধ্যে ৫ শতাংশের বেশি ফারাক থাকলে সেটি ইলেকটিভ সাবজেক্ট হয়ে যাবে। পাশ করা অন্য কোনও বিষয় হয়ে যাবে কম্পালসারি।

Advertisements

আবার কোনো পড়ুয়া যদি ফেল করা বিষয়কে, কম্পালসারি রাখতে চায়, তাহলে তাকে মার্কশিট সারেন্ডার করে ফের পরীক্ষায় বসতে হবে। একাদশে প্রথম সেমেস্টারে একাধিক সাবজেক্টে ফেল করলে দ্বিতীয় সেমেস্টারের সঙ্গেই সাপ্লিমেন্টারি দেওয়ার সুযোগ থাকছে। আবার যদি প্রথম সেমের কোনও পেপারের সাপ্লিতে যদি অসফল হয় পরীক্ষার্থীরা, তাহলে পরের বছর তাকে আবার প্রথম সেমেস্টারের সব ক’টি পরীক্ষা দিতে হবে। দ্বাদশেও সাপ্লির সুযোগ থাকছে।

তবে দ্বিতীয় বা ফাইনাল সেমে অনুত্তীর্ণ হলে পরের বছর তাকে সমস্ত বিষয়গুলির পরীক্ষাই দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে সিসি বা স্পেশাল ক্যান্ডিডেট ব্যবস্থা উঠে যাচ্ছে। কারণ সেখানে আর সাপ্লির সুযোগ থাকছে না। ফলে তাদের একটি বছর নষ্ট হবে। এছাড়া সংসদ জানায় যে, একাদশের পরীক্ষা নেবে স্কুল। সংসদের ওয়েব পোর্টালে মার্কস আপলোড করতে হবে। দ্বাদশের দু’টি পরীক্ষাই নেবে সংসদ। তবে এই ব্যবস্তায় পরীক্ষার্থীদের অনেকটাই সুবিধা হবে বলে মনে করছেন শিক্ষামহল।