বিজেপির পার্টি অফিস নয়, অগ্নিবীরদের চাকরি নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসছে নামকরা কোম্পানি

বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের বেফাঁস মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছিল দল। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছিলেন, বিজেপি কার্যালয়ে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে অগ্রাধিকার পাবেন অগ্নিবীরেরা (Agniveers)। তবে তা যে সত্যি নয়,…

private companies have extended their hand to give jobs to Agniveers

বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের বেফাঁস মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছিল দল। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেছিলেন, বিজেপি কার্যালয়ে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে অগ্রাধিকার পাবেন অগ্নিবীরেরা (Agniveers)। তবে তা যে সত্যি নয়, তা একটি ঘোষণাতেই স্পষ্ট হল। অনেক প্রাইভেট কোম্পানি ঘোষণা করেছে যে তারা আগামী সময়ে অগ্নিবীরদের চাকরি দেবে। এমন পরিস্থিতিতে কোন কোম্পানি চাকরি দিতে এগিয়ে এসেছে এবং কোন কোম্পানি কী বলেছে জেনে নিন।

চার বছর চাকরি করার পর অগ্নিবীরদের কী হবে এমন প্রশ্ন রয়েছে মানুষের। একই সঙ্গে সরকার ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এর পর তারা ব্যবসা শুরু করতে পারবে এবং অনেক চাকরিতেও তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এছাড়াও, বলা হচ্ছে অনেক প্রাইভেট কোম্পানিও অগ্নিবীরদের চাকরি দিতে এগিয়ে আসবে। চাকরির নিশ্চয়তা নিয়ে কোম্পানিগুলির এই ভরসা অগ্নিবীরদের কাছে আশার ব্যাপার।

আনন্দ মাহিন্দ্রা থেকে হর্ষ গোয়েঙ্কা অগ্নিবীরদের চাকরি দেওয়ার ব্যাপারে এগিয়ে এসেছেন অনেকেই। মাহিন্দ্রা গ্রুপের চেয়ারম্যান আনন্দ মাহিন্দ্রও এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং এই স্কিমের প্রশংসা করে চাকরি দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে, আনন্দ মাহিন্দ্রা বলেছিলেন, “গত বছর যখন স্কিমটি বিবেচনা করা হচ্ছিল, আমি বলেছিলাম যে অগ্নিবীররা যে শৃঙ্খলা এবং দক্ষতা পাবেন তা অবশ্যই তাকে নিয়োগযোগ্য করে তুলবে।”

বায়োকন লিমিটেডের চেয়ারপারসন হর্ষ গোয়েঙ্কার টুইটের পর, কিরণ মজুমদার-শ চাকরির আশ্বাস দিয়েছেন অগ্নিবীরদের। তিনি বলেছেন যে আমি পূর্ণ বিশ্বাস করি যে অগ্নিবীররা শিল্প চাকরির বাজারে নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি স্বতন্ত্র সুবিধা পাবে।

এর আগে, রবিবার মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে বিজেপির একটি কার্যালয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা বিজয়বর্গীয়। সেখানেই সরকারের ঘোষিত অগ্নিপথ প্রকল্পের বিভিন্ন সুবিধা বর্ণনা করছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি বলেন, আমাকে যদি এই অফিসে, বিজেপির অফিসে সিকিউরিটি রাখতে হয়, তাহলে আমি অগ্নিবীরদের অগ্রাধিকার দেব। কৈলাস বিজয়বর্গীয় এহেন মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় হয়ে যায় রাজনৈতিক মহল।