Bangla Pokkho: বাংলাপক্ষর আন্দোলনে বাতিলের পথে ৫৫০১ চাকরি

বাতিলের পথে কয়েক হাজার চাকরি। এ ক ধাক্কায় পাকা সরকারি চাকরি হারাতে পারেন পাঁচ হাজার ৫০১ জন। সবাই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী। সৌজন্যে বাংলাপক্ষ (Bangla Pokkho)।…

Bangla Pokkho

বাতিলের পথে কয়েক হাজার চাকরি। এ ক ধাক্কায় পাকা সরকারি চাকরি হারাতে পারেন পাঁচ হাজার ৫০১ জন। সবাই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী। সৌজন্যে বাংলাপক্ষ (Bangla Pokkho)।

নিয়োগ দুর্নীতি। চাকরি বাতিল। মন্ত্রীর গ্রেফতার। অনেক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বারবার চাকরি বাতিল হয়েছে। সবই রাজ্য সরকারের নিয়োগ করা কর্মী। অর্থাৎ রাজ্য সরকারি কর্মী। এবার বাতিল হতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি। কয়েক জনের নয়। কয়েক হাজার জনের। তাঁরা সবাই পশ্চিমবঙ্গ থেকেই চাকরি পেয়েছিলেন। কিন্তু সেই চাকরি আর নাও থাকতে পারে।

দোলাচলে থাকা এইসব নিয়োগ হয়েছিল আধাসেনায়। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে। অভিযোগ, বাংলা থেকে এই নিয়োগে ব্যপক জালিয়াতি হয়েছে। জাল ডোমিসাইল এবং জাল কাস্ট সার্টিফিকেট দেখিয়ে অনেকেই চাকরি পেয়েছিলেন। এ নিয়ে আসরে নামে বাংলাপক্ষ। বিভিন্ন জায়গায় দায়ের হয় অভিযোগ। তার ভিত্তিতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ২০২১ এবং ২০২২ সালের নিয়োগের নথি যাচাই করা হবে।

এর মধ্যে ২০২১ সালে চাকরি পেয়েছেন তিন হাজার ৬২৭ জন। আর ২০২২ সালে পেয়েছেন এক হাজার ৮৭৪ জন। মোট পাঁচ হাজার ৫০১ জনের নিয়োগ এখন দোলাচলে। অভিযুক্ত কর্মীদের নাম উল্লেখ করে নির্দেশিকা দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বলা হয়েছে, উল্লিখিত পাঁচ হাজার ৫০১ জনের ডোমিসাইল এবং কাস্ট সার্টিফিকেট যাচাই করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে এসে জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং অসমের অনেকে চাকরি পেয়েছেন। এই জালিয়াতির অভিযোগের তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাঙালির অধিকারের দাবিতে লড়াই করে বাংলাপক্ষ। নিজেদের ভারতে বাঙালির জাতীয় সংগঠন বলে দাবি করে। আধাসেনায় নিয়োগে জালিয়াতির বিরুদ্ধে পথে নামে বাংলাপক্ষ। বিভিন্ন সরকারি অফিসে অভিযান, ঘেরাও এবং মামলা। তারপরে কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্তের নির্দেশ। এ বিষয়ে বাংলাপক্ষর শীর্ষনেতা কৌশিক মাইতি বলেন, “এই জয় বাঙালি জাতিকে উৎসর্গ করলাম। বাংলা পক্ষর আন্দোলনের এর থেকে বড় সাফল্য কখনও আসেনি।”

একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “অন্য কোনও দল লড়েনি। লড়ছে শুধু বাংলাপক্ষ। কোর্ট কেসও আমিই করেছিলাম। বিএসএফ ক্যাম্প ঘেরাও, এসডিও এবং এসপি অফিস ঘেরাও, নিজাম প্যালেসে অভিযান, সিআরপিএফ ভবনে অভিযান আমরাই করেছি। আমরা মারও খেয়েছি এসব করতে গিয়ে। শেষমেশ যেন সাফল্যের কাছাকাছি আসতে পেরেছি।”