নির্বাচনী বিশ্লেষণ: হাতের সঙ্গে কাস্তে জুড়লেও আইএসএফ জুড়বে কী?

সাগরদিঘির নির্বাচন (Sagardighi by-elections) আগামী দিনে রাজ্য রাজনীতির (West Bengal Political) মোড় ঘোরাবে৷ এমনটা আন্দাজ মিলছিল আগে থেকেই৷

Sagardighi by-elections will change the equation of state politics in coming days

সাগরদিঘির নির্বাচন (Sagardighi by-elections) আগামী দিনে রাজ্য রাজনীতির (West Bengal Political) মোড় ঘোরাবে৷ এমনটা আন্দাজ মিলছিল আগে থেকেই৷ নির্বাচনে বামেরা, কংগ্রেসের হাতে কাস্তে তুলে দিয়েছে৷ সেই ধারেই কার্যত ধূলিসাৎ হয়েছে দুই ফুলই৷ তাই ২০১৬ ও ২০২১ এর পর এবার ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাচ্ছে জোট। কিন্তু এই জোটে কী আইএসএফ জায়গা পাবে?

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, বিধানসভা নির্বাচনের পর শাসক দলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগের পাহাড় জমা হয়েছে, সেটাই বিপদ হয়েছে। কিন্তু ফায়দা তাহলে বিজেপি পেল না কেন? কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, সাগরদিঘিতে সংখ্যালঘু ভোট। বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত হলেও সাগরদিঘিতে এবার এনআরসির হাওয়া আর কাজ করেনি৷ তাই ভরাডুবি হয়েছে ঘাস ও পদ্ম ফুলের।

তার ওপর পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারের ঘটনাটিও ভালো চোখে নেয়নি মানুষ। সেটার অনেকটা প্রভাব পড়েছে নির্বাচনে৷ এত কিছুর পরেও আইএসএফের সঙ্গে জোটে থাকতে রাজি হবেন অধীর চৌধুরী?

২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় আইএসএফের সঙ্গে জোটে মোটেই খুশি ছিলেন না অধীর৷ ব্রিগেডের মাঠের সেই ঘটনা এখনও জোটের বিপক্ষে হাওয়া ধরায়। পরে অবশ্য তাঁকে বলতে শোনা যায় কংগ্রেসের জোট বামেদের সঙ্গে হয়েছিল৷ বামেরা জোট করেছিল আইএসএফের সঙ্গে। আবার বাম কর্মীদের বক্তব্য ছিল, কংগ্রেস ও আইএসএফের সঙ্গে জোট করা উচিত হয়নি। নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নিয়ে ঢোঁক গিলতে গিলতে অবশেষে জোট নিয়ে জট পাকিয়েছিল। একমাত্র আসনে জয়লাভ করে নওশাদ৷

সময়ের বদল হয়েছে। বামেদের একাধিক আন্দোলনে পাশে দেখা গেছে নওশাদকে৷ কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে সেভাবে সখ্যতা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। বরং নওশাদ গ্রেফতার হতেই ছুটে যান সুজন চক্রবর্তীরা৷ কিন্তু হাজতবাসে থাকাকালীন নওশাদ আরও সঙ্গীকে স্বাগত জানিয়ে যেন সেই জল্পনা বাড়িয়ে দেন। তার ওপর নওশাদের গ্রেফতারি যে কংগ্রেসের পালে হাওয়া লাগিয়েছে তা বলাই যায়। এখন আইএসএফকে নিয়ে আগামী দিনে কোনও পরিকল্পনা রয়েছে বাম ও কংগ্রেসের? প্রশ্ন খুঁজছে রাজ্যের মানুষ।