Gangasagar : ‘নোনা জলে করোনা হবে না’ থিওরিতে চরম কটাক্ষের মুখে মমতা সরকার

করোনা আবহে কতোই না ‘থিওরি’ আবিষ্কার হয়েছে। ফ্যাক্ট চেক করতে গিয়ে বোধহয় হিমশিম খেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷ হয়তো অনেকের মনে পড়েছে ‘গল্পের গরু গাছে ওঠে’। যুক্তিকে থোড়াই…

mamata banerjee drinking

করোনা আবহে কতোই না ‘থিওরি’ আবিষ্কার হয়েছে। ফ্যাক্ট চেক করতে গিয়ে বোধহয় হিমশিম খেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা৷ হয়তো অনেকের মনে পড়েছে ‘গল্পের গরু গাছে ওঠে’। যুক্তিকে থোড়াই কেয়ার! প্রসঙ্গে গঙ্গাসাগর (Gangasagar)।

এবার আলোচনায় ‘নোনা জলে করোনা’। মানে? ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যে এবার গঙ্গাসাগর মেলায় আয়োজনের ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টে চলেছে মামলা। আদালতে রাজ্য সরকারের আইনজীবীর যুক্তি- নোনা জলে করোনা ছড়ায় না।

নেট দুনিয়ায় এ প্রসঙ্গে হচ্ছে আলোচনা৷ নেট নাগরিকরা কেউ পক্ষে, কেউ বিপক্ষে৷ নোনা জলে করোনা প্রসঙ্গে বিজ্ঞানের কী যুক্তি? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’- জানিয়েছে, জলের করোনা ছড়ায় এমন প্রমাণ আপাতত মেলেনি। সাঁতার কাটার মতো কাজও নিরাপদে চলতে পারে। তবে বিপত্তি হতে পারে অল্প জায়গায় একাধিক ব্যক্তি উপস্থিতি। জলে থাকলেও শারীরিক দুরত্ব মেনে চলার ব্যাপারে সজাগ থাকতে বলেছে হু। এমনকি কাশি, হাঁচি ইত্যাদি ক্ষেত্রে কনুই দিয়ে মুখ ঢাকা দেওয়ার উপদেশ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

মমতা-সরকারের যুক্তি কি একেবারে যথার্থ?

হু-এর পক্ষ থেকে মিষ্টি জল কিংবা নোনা জলের কথা আলাদাভাবে বলা হয়নি৷ বলা হয়েছে জলে করোনা ছড়ায় এমন প্রমাণ মেলেনি। অর্থাৎ আইনজীবীর ‘নোনা জল’ যুক্তি ফেলে দেওয়ার মতো নয়। সমস্যাটা জমায়েত নিয়ে।

ভারতবর্ষের সিংহভাগ মানুষ ধর্মের ব্যাপারে কীরূপ উৎসাহী এ কথা প্রত্যেকের জানা৷ জলে হোক বা ডাঙ্গায়, ভিড় বা জমায়েত এড়ানোই চ্যালেঞ্জ। সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে সাগর এলাকার প্রত্যেকেই প্রতিষেধক পেয়ে গিয়েছেন। তাতেও কি করোনা রোধ করা সম্ভব? সম্প্রতি যারা কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের অনেকেরই ডবল ডোজ নেওয়া ছিল। তার পরেও রিপোর্ট পজিটিভ।

স্রেফ ‘নোনা জলে করোনা ছড়ায় না’ যুক্তি কি তাহলে যথার্থ? ভিড় প্রতিহত করার ব্যাপারে আদালতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার৷ প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা কি সম্ভব হবে? কুম্ভমেলা ২০২১-এর স্মৃতি চাইছেন না সাধারণ মানুষ।